ইউক্রেনের সেই উড়ো্জাহাজটি ভুল করে ছোড়া ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়েছে। এ কথা বলে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে ইরান। এ ঘটনার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমাও চেয়েছে। গত বুধবার ইরানের তেহরান বিমানবন্দর থেকে ওড়ার খানিক পরই ইউক্রেনের উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭৬ জন আরোহীর সবাই মারা যায়।
আজ শনিবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, সকালে এক বিবৃতিতে ইরানি সামরিক বাহিনী জানায়, উড়োজাহাজটিতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত লাগার বিষয়টি ইচ্ছাকৃত ছিল না। এটা ছিল ভুল। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।
উড়োজাহাজে কানাডা ও সুইডেনের যাত্রীরাও ছিলেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান ২২টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উড়োজাহাজটি যাত্রী নিয়ে তেহরানের বিমানবন্দর ছেড়ে যাচ্ছিল।
উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, তিনি বিভিন্ন সূত্রে গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছেন যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাও হতে পারে। একই মন্তব্য করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইরান তখন এ ধরনের হামলার কথা অস্বীকার করে।
মার্কিন গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, ইউক্রেনের উড়োজাহাজটিকে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান মনে করে ভুলবশত ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে থাকতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাতে পারে আশঙ্কায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ইরান।