নেপাল

আস্থা ভোটে হেরে ওলি সরকারের পতন

কে পি শর্মা ওলি
ফাইল ছবি। রয়টার্স।

নেপালের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। এর মধ্য দিয়ে তাঁর সরকারের পতন হলো। শিগগিরই দেশটির প্রেসিডেন্ট নতুন সরকার গঠনের জন্য অন্য দলকে আহ্বান জানাবেন।

নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ২৭১ আসনের পরিষদে ভোট দেন ২৩২ জন আইনপ্রণেতা। তাঁদের মধ্যে ৯৩ জন ওলির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১২৪টি। আর ১৫ জন আইনপ্রণেতা ভোটদানে বিরত থাকেন। আস্থা ভোটে জয় পেতে প্রধানমন্ত্রী ওলির ১৩৬ ভোট প্রয়োজন ছিল।

পার্লামেন্টে নেপালি কংগ্রেসের ৬১টি ও কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (মাওয়িস্ট সেন্টার) ৪৯টি আসন রয়েছে। দুটো দলই প্রধানমন্ত্রী ওলির ওপর অনাস্থা এনেছে। এমনকি ওলির নিজের দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (ইউনিফাইড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট) মাধব নেপাল-ঝালা নাথ খানালের সমর্থিত আইনপ্রণেতারা ভোটদানে বিরত ছিলেন। নেপালের জনতা সমাজবাদী দলের আইনপ্রণেতাদের একাংশ ওলির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

স্পিকার অগ্নি সাপকোতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টের আস্থা হারিয়েছেন।

২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নেপালে সরকার গঠন করেছিলেন ওলি। নতুন সংবিধান গ্রহণের পর দেশটিতে তিনিই প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (মাওয়িস্ট সেন্টার) আইনপ্রণেতাদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন ওলি। এর মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল ওলির জোটের।

তবে পরবর্তী সময়ে নেপালের রাজনীতিতে অনেক ঘটনা ঘটেছে। দেশটির সীমান্তে ভারতীয় অবরোধ ওলিকে চীনের প্রতি ঝুঁকিয়েছে। চীনও নেপালের অবকাঠামো খাতে বড় বিনিয়োগ হাজির করেছে। ওলির আমলে নেপালের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বেইজিংয়ের প্রভাব বেড়েছে অনেকাংশে। ভারত-চীনের মাঝে পড়ে টালমাটাল হয়েছে কাঠমান্ডুর রাজনীতি।

এখন প্রধানমন্ত্রী ওলি আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় সংবিধানের ৭৬(২) ধারা সক্রিয় করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। এ ধারার আওতায় নতুন সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাবেন তিনি।