জাপানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয় পেতে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্যমতে, কিশিদার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) জয় পেলেও পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আসনসংখ্যা আগের তুলনায় কমবে।
জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বুথফেরত জরিপের ওপর ভিত্তি করে এই তথ্য দিয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনএইচকে বলছে, এলডিপি ও এর জোটে থাকা কোমেইতো এবার ২৩৯টি থেকে ২৮৮টি আসনে জয়ী হতে পারে। জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৪৬৫টি আসন রয়েছে।
স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল সাতটায় দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হয় রাত আটটায়। ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গণমাধ্যমের বুথফেরত জরিপের মাধ্যমে সম্ভাব্য ফলাফলের আভাস আসা শুরু করে।
অক্টোবরের প্রথম দিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন কিশিদা। এরপরই নির্বাচনের ডাক দেন তিনি। গত সোমবার তিনি বলেছিলেন, এই ভোট তাঁর জন্য ও ক্ষমতাসীন এলডিপির জন্য একটি পরীক্ষা। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য দলটির জনপ্রিয়তা কমে গেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
৬৪ বছর বয়সী কিশিদা এক মাস আগে ইয়োশিহিদে সুগার পদত্যাগের পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। মনে করা হচ্ছে, কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় সুগার ব্যর্থতা জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছিল। জনগণের অসন্তোষের কারণেই তিনি পদত্যাগ করেন।
করোনায় বৈশ্বিক অর্থনীতিরই বেহাল দশা। জাপানের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। ভোট গ্রহণের দিন চিহিরো সাতো (৩৮) নামের এক গৃহবধূ এএফপিকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর সঙ্গে আমি রাজনীতিবিদদের প্রতিক্রিয়া তুলনা করেছি।’ কিন্তু ৭৯ বছর বয়সী এক প্রকৌশলী বলছেন, তিনি চীনের সামরিক হুমকির বিষয়ে বেশি চিন্তিত।
এদিকে জাপানের টেলিভিশন চ্যানেল আসাহি বলছে, ফুমিও কিশিদার দল ও তাঁর জোট ২৮০টি আসন জিতবে। তবে এই আসনসংখ্যা তাদের বর্তমান আসনের চেয়ে অনেক কম। আগের নির্বাচনে তারা ৩০৫টি আসনে জয় পেয়েছিল। ফলে পার্লামেন্টে তাদের ক্ষমতা কিছুটা হলেও কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাপানের অন্যতম রক্ষণশীল দলটি ১৯৫০ সালের পর থেকে প্রায় নিয়মিতভাবেই ক্ষমতায় রয়েছে।