আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দাশত-ই-বারচি এলাকায় ছেলেদের একটি মাধ্যমিক স্কুলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ছয়জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। বার্তা সংস্থা এএফপি ও আল-জাজিরা আজ মঙ্গলবার এ তথ্য দিয়েছে।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান বার্তা সংস্থা এএফপিকে মঙ্গলবার বলেন, রাজধানীর পশ্চিমাঞ্চলের আবদুল রহিম শহিদ হাইস্কুলের বাইরে দুটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) পেতে রাখা হয়। বিস্ফোরণে কমপক্ষে ছয়জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে খালিদ জাদরান টুইটে বলেছেন, তিনটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে স্কুলটি। স্কুলটি শিয়া হাজারা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায়। নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অতীতে বহুবার হামলা চালিয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠী।শিক্ষার্থীরা সকালের শিফটের ক্লাস শেষ করে ফেরার সময় আজকের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে। তাৎক্ষণিক কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। শীতের মাসগুলো এবং গত বছর বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর সহিংসতা কিছুদিন বন্ধ ছিল।
গত আগস্টে ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশকে নিরাপদ করার দাবি করে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। তবে এখনো দেশটি জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকেরা বলছেন। গত কয়েক মাসে বহু হামলার দায় স্বীকার করেছে দেশটির জঙ্গি সংগঠন আইএস-কে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর আইএসের সন্দেহভাজন আস্তানায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে তালেবান। মূলত পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গত বছরের মে মাসে দাশত-ই-বারচি এলাকায় স্কুলের কাছে বিস্ফোরণে ৮৫ জন নিহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই ছিল স্কুলছাত্রী। আহত হয় প্রায় ৩০০ জন। কেউ ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ২০২০ সালের অক্টোবরে একই এলাকায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী হামলায় শিক্ষার্থীসহ ২৪ জন নিহত হয়। আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করে।