মেয়েদের স্কুল যাওয়ার কোনো নির্দেশনা না আসায় আফগানিস্তানে নারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। শনিবার থেকে দেশটিকে মাধ্যমিক স্কুল খোলা হলেও মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ বলেছে, ‘সব বয়সী মেয়েদের জন্য আর দেরি না করে পুনরায় শিক্ষা শুরু করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’
তালেবান নারীদের বিষয়ে কট্টরপন্থা থেকে সরে আসেনি তার আরেকটি প্রমাণ দেখা গেছে নারী মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করার মধ্য দিয়ে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানে নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিতে চাইছে তালেবান। এ মন্ত্রণালয়কে নীতিনৈতিকতা-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বদল করার চেষ্টা চলছে।
নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নামফলক মুছে ফেলে বসানো হয়েছে নীতিনৈতিকতা-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ফলক।
তালেবান রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় গত ১৫ আগস্ট। এরপর এক মাস পেরিয়ে গেছে। রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে দেশটির অর্থনীতি ধসে পড়েছে, দেখা দিয়েছে খাদ্যসংকট। অর্থনীতির চাকা সচল করতে ও সাধারণ মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে চেষ্টা করছে তালেবানের নতুন সরকার। এর মাঝে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা জানাল তালেবান সরকার।
এরই মধ্যে অল্পসংখ্যক স্কুল কার্যক্রম শুরু করেছে। কিছু স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েরা ক্লাসেও যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের ক্লাস করতে দেখা গেছে। তবে উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়গুলো এখনো খুলে দেওয়া হয়নি।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, তালেবানদের সঙ্গে আলোচনার জায়গা আছে এবং নারীসহ মানবাধিকার ইস্যুতে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
গ্র্যান্ডি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আফগানিস্তানকে দুর্যোগ থেকে এবং এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীলতা থেকে বাঁচানোর জন্য তালেবানদের সঙ্গে থাকুন।