যুক্তরাজ্যের কিছুসংখ্যক নাগরিককে আফগানিস্তানে আটক করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার এ কথা বলা হয়। তারা ইতিমধ্যে বিষয়টি আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এ বিবৃতির এক দিন আগেই দুজন বিদেশি সাংবাদিককে আটক অবস্থা থেকে ছেড়ে দেয় তালেবান। তাঁদের মধ্যে বিবিসির একজন সাবেক সংবাদদাতা আছেন।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানে আটক বেশ কয়েক ব্রিটিশ পুরুষের পরিবারকে আমরা সহায়তা দিচ্ছি।’
তবে ঠিক কতজন ব্রিটিশ নাগরিক আফগানিস্তানে আটক আছেন, আর কে বা কারা তাঁদের আটক করেছে, সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানে কয়েক ব্রিটিশ নাগরিকের আটক হওয়ার বিষয়টি যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা প্রতিটি সুযোগে তালেবানের কাছে উত্থাপন করেছেন। এমনকি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিনিধিদল যখন কাবুল সফর করে, তখনো বিষয়টি তালেবানের কাছে তোলা হয়।
কাতারে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের আফগান মিশনের প্রধান হুগো শর্টারের নেতৃত্বে একটি ব্রিটিশ প্রতিনিধিদল গত সপ্তাহের শুরুতে কাবুল সফরে যায়। সেখানে তারা তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
হুগো শর্টার বলেন, কাবুল সফরকালে তিনি আফগানিস্তানের মানবিক সংকটের পাশাপাশি দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যে অভিযোগ আছে, তা নিয়ে তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
গত শুক্রবার পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে অন্তত ছয় ব্রিটিশ নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিবিসির সাবেক সংবাদদাতা অ্যান্ড্রু নর্থও রয়েছেন। তিনি অবশ্য পরে মুক্তি পেয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে তালেবান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এএফপি। কিন্তু এ বিষয়ে তালেবান কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।
২০ বছরের বিদেশি দখলদারির পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে গত বছরের মধ্য আগস্টে দেশটির ক্ষমতা তালেবানের হাতে যায়।
ক্ষমতা দখলের পর গত সেপ্টেম্বরে সরকার গঠনের ঘোষণা দেয় তালেবান। কিন্তু তালেবানের এ সরকারকে বিশ্বের কোনো দেশ এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে তালেবান জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে তালেবানকে বিভিন্ন পূর্বশর্ত দিচ্ছে পশ্চিমারা।