অস্ট্রেলিয়ার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা স্থানীয় সময় আজ বুধবার শপথ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজির মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন রেকর্ডসংখ্যক নারী। মন্ত্রিসভায় বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে সর্বাধিক নারী ছাড়াও ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিও রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী আলবানিজি। খবর রয়টার্সের।
অস্ট্রেলিয়ার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা ২৩। এর মধ্যে ১০ জনই নারী। এর আগে স্কট মরিসনের উদার–জাতীয়তাবাদী জোট সরকারে সাত নারী মন্ত্রী ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী এড হুজিক এবং যুবমন্ত্রী আন্নে আলি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের প্রথম মুসলিম মন্ত্রী হিসেবে বুধবার অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় রাজধানী ক্যানবেরায় এক অনুষ্ঠানে শপথ নেন। ক্যাঙ্গারুর চামড়ার চাদর গায়ে জড়িয়ে প্রথম আদিবাসী নারী হিসেবে আদিবাসীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়ে শপথ নেন লিনডা বার্নে।
২১ মে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হন আলবানিজি। দুই দিন পর তিনি চার সদস্যের একটি অন্তর্বর্তী মন্ত্রণালয় গঠন করেন, যাতে করে টোকিওতে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন কোয়াডের বৈঠকে যোগ দিতে পারেন। কোয়াড জোটের ওই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জাপান ও ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানেরাও ছিলেন।
অন্তবর্তীকালীন মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রিচার্ড মার্লেস ও পেনি অং। এ ছাড়া জিম চালমার্স ট্রেজারি (সরকারি আয়–ব্যয়, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বাজেট প্রণয়ন) মন্ত্রণালয় ও কেটি গেলাগার ছিলেন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে। নতুন মন্ত্রিসভায় রিচার্ড মার্লেস হয়েছেন উপপ্রধানমন্ত্রী। তাঁকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে
বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছেন ডন ফ্যারেল। পরিবেশবিষয়কমন্ত্রী করা হয়েছে তেনেয়া পিলিবারেস্ককে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ক্লেয়ার ও নেইল। জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্রিস বোয়েনকে। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সাবেক নেতা বিল শর্টেন সরকারি সেবা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন।