ত্রিদেশীয় নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, চুক্তি বাতিলের পর তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। তবে তিনি হতাশ হচ্ছেন না। মরিসন বলছেন, ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে তিনি ধৈর্য ধরবেন। খবর এএফপির।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন মরিসন। চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন নেতার সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন তিনি। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারছেন না। মরিসন বলেন, তিনি ফ্রান্সের অসন্তুষ্ট হওয়ার কারণ বুঝতে পারছেন। বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে সময় নেবেন।
পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন কিনতে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি করে অস্ট্রেলিয়া। এর জন্য কয়েক বছর আগে ফ্রান্সের সঙ্গে করা চার হাজার কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি বাতিল করে ক্যানবেরা। এতে ক্ষুব্ধ হয় ফ্রান্স। এই চুক্তিকে বিশ্বাসভঙ্গের শামিল বলে আখ্যায়িত করে তারা। চুক্তির জের ধরে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নেয় দেশটি।
প্যারিসের অভিযোগ, গোপনে ওয়াশিংটন ও লন্ডনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ক্যানবেরা। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান এই চুক্তিকে বিশ্বাসঘাতকতা এবং পেছন থেকে ছুরিকাঘাত হিসেবে বর্ণনা করেন। চুক্তির মাধ্যমে দেশ দুটি ফ্রান্সের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ ও অপমানজনক আচরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চুক্তি ঘিরে উত্তেজনা নিরসনে উদ্যোগী হন বাইডেন ও মাখোঁ। আগামী মাসে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন তাঁরা। গতকাল বুধবার এ নিয়ে দুই দেশের প্রধানদের মধ্যে ফোনালাপ হয়। সেখানেই তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নেন বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বুধবার বাইডেন–মাখোঁর ফোনালাপের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট দেখা করতে রাজি হয়েছেন।
ফোনালাপে বাইডেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ফ্রান্স ও ইউরোপীয় দেশগুলোর তৎপরতার কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যকার অভিন্ন লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া এবং দুই দেশের আস্থা নিশ্চিত করতে বাইডেন ও মাখোঁ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।