সৌদিতে নারীদের ভ্রমণ, বিয়ে বা অন্যান্য কাজে পিতা, স্বামী বা অন্য কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি লাগে। গতকাল রোববার সৌদির একটি আদালত একজন নারীর পক্ষে রুল দিয়েছেন। ওই নারী পাসপোর্ট রাখা নিয়ে তাঁর বাবার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এ ঘটনায় পুরুষ অভিভাবকত্ব পদ্ধতি নিয়ে অনলাইন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এএফপির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বলছে, সৌদি আরবে এ ঘটনাটিকে দুর্লভ বলা হচ্ছে। ২৪ বছর বয়সী ওই নারী পশ্চিম জেদ্দা শহরে থাকেন। তিনি বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করতে চাইছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবা এতে নিষেধ করেন। এতে তিনি অভিভাবকের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে আদালতে যান। আদালত তাঁর বাবাকে ওই নারীর পাসপোর্ট করার জন্য আদেশ দেন।
স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ওই নারী ১০ বছর ধরে তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকেন। ৬ বছর ধরে তিনি বাবাকে দেখেননি।
সৌদি আরব সামাজিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নারীদের গাড়ি চালানো, খেলা দেখাসহ নানা কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে সেখানে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ২০৩০ সালের লক্ষ্য হচ্ছে এক-তৃতীয়াংশ নারীকে কর্মক্ষেত্রে যুক্ত করা। দীর্ঘদিন ধরেই পুরুষ অভিভাবকত্ব পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনার মুখে রয়েছে দেশটি।
সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের সদস্য লতিফা আসালান বলেন, ‘নারীদের যদি পুরুষের মতোই নিজেদের পাসপোর্ট করার অধিকার থাকত, তবে আমাদের আদালতের এ বিষয়টির মতো রুল দেওয়ার প্রয়োজন হতো না।’
সৌদি আরবের একজন টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, এ পদ্ধতির অসংগতি দেখে আমি বিস্মিত। শেষ পর্যন্ত ওই পিতাকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট করতে হবে। এত সময় নষ্ট না করে আর ঝামেলা না পাকিয়ে কেন তাঁদের পাসপোর্ট দেওয়া হয় না?