ভারতের আসাম রাজ্যের শিল্পীরা বালু দিয়ে মুখচ্ছবি গড়ে শ্রদ্ধা জানালেন দেশটির বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে। পাকিস্তানে ধরা পড়ার পর তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
আসামের ডেকিয়াজুলির রঞ্জন শইকিয়া গাভরু নদীর পাড়ে বালু দিয়ে শিল্পকর্ম গড়ে শ্রদ্ধা জানালেন অভিনন্দনকে।
বালুশিল্প বা স্যান্ড আর্টে সুখ্যাতি আছে ওডিশার শিল্পীদের। এখন ওডিশার পাশাপাশি আসামেও জনপ্রিয় হচ্ছে এ শিল্প।
ওডিশায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েকের স্টুডিও পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমসাময়িক ঘটনাকে বালু দিয়ে তুলে ধরেন সুদর্শন। সমুদ্রের পাড়ে তাঁর শিল্পকর্ম দেখতেই অনেকে ছুটে আসেন পুরী। পুলওয়ামার জঙ্গি হানা বা ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস সুদর্শনের দক্ষ হাতে বালুশিল্প অন্য মাত্রা পায়।
এবার আসামেও দেখা গেল বালুশিল্পের অসাধারণ নিদর্শন। সুদর্শনের শিল্পকর্ম ক্ষণস্থায়ী। কারণ, সমুদ্রের ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে যায় বালুচরে তাঁর শিল্পকর্মকে। কিন্তু রঞ্জনের শিল্পকর্ম থেকে যায় কয়েক দিন।
ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পেশায় শিক্ষক রঞ্জন অভিনন্দনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অভিনন্দন কুড়াচ্ছেন স্থানীয় লোকজনের। তিনি বলেন, দেশরক্ষার জন্য যাঁরা নিজেদের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করতে প্রস্তুত, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেই তাঁর এই প্রয়াস।
রঞ্জনের সঙ্গে এই শিল্পকর্মে সহযোগিতা করেছেন ঘনশ্যাম নেপাল, যিশু হাজারিকা, কুলেশ দাস, বিনোদ দাস, যুগল নাথ, পরেশ নাথ, লেখনাথ শর্মা প্রমুখ।