আফগানিস্তানের পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি কোথায়, অবশেষে তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাজিকিস্তানে থাকা আফগান দূতাবাস থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।
আজ বুধবার তাজিকিস্তানের আফগান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জহির আকবর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রেসিডেন্ট গনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন। যাওয়ার সময় তিনি প্রায় ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে গেছেন বলেও অভিযোগ করেন এই রাষ্ট্রদূত।
তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে ঢুকে পড়ার দিন রোববার দেশ ত্যাগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। তিনি কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছিল না। সেদিন ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি প্রতিবেশী দেশ উজবেকিস্তান বা তাজিকিস্তানে যাবেন। আবার অন্যান্য খবরে বলা হয়, তিনি ওমানে গিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আজ বুধবার অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছিল, আশরাফ গনি দুবাইয়ে আছেন বলে জানা গেছে।
তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ জহির আকবর গনির এ পলায়নকে ‘দেশ ও জাতির সঙ্গে প্রতারণা’ বলে দাবি করেন। গনির সাবেক ডেপুটি আমরুল্লাহ সালেহকে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বলে অভিহিত করেন জহির।
গতকাল রাতে বিবিসি নিউজের কাছে এক অডিও বার্তা পাঠিয়ে সালেহ নিজেকে আফগানিস্তানের বৈধ অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট বলে দাবি করেন এবং তিনি প্রতিশ্রুতি দেন এই যুদ্ধ শেষ হয়নি।
২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা আশরাফ গনির এভাবে দেশ ছেড়ে যাওয়া নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। এমনকি সরকারে থাকা মন্ত্রীদের অনেকেও এভাবে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। এর জবাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে আশরাফ গনি বলেছিলেন, রক্তপাত এড়াতে দেশ ত্যাগ করেছেন তিনি।