চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় অন্তব৴র্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দলের এক সদস্য। তিনি জানান, ক্ষমতাসীন জোটের অন্তত তিন সদস্য অন্তব৴র্তী সরকার গঠনের পক্ষে রয়েছে। দেশজুড়ে চলমান অশান্তি ও বিক্ষোভের মুখে জাতীয় ঐক্যের প্রশাসন গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এর সাত দিনের মধ্যে জোট শরিকের পক্ষ থেকে অন্তবর্তী সরকার গঠনের নতুন এই প্রস্তাব সামনে এসেছে।
ক্ষমতাসীন সরকারের জোট শরিক জাতিকা হেলা উরুমায়া পার্টির প্রধান গতকাল সোমবার উদয়া গামানপিলা বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তাব হলো, সব দলের অংশগ্রহণে একটি কমিটি তৈরি করা। ওই কমিটি একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী ও অল্পসংখ্যক মন্ত্রী নিয়োগে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষে বর্তমানে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উদয়া গামানপিলা বলেন, ‘আমরা পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগেই এই কমিটি করতে চাই। আমরা দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা দেখতে চাই।’
এদিকে গত রোববার তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (টিএনএ) জানায়, প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পার্লামেন্টে বিরোধী সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলে তাতে দলটি সমর্থন দেবে।
শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) দলের নেতা গোতাবায়া রাজাপক্ষে। ২০১৯ সালে গোতাবায়া বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তাঁর দল। নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সংবিধান সংশোধনও করেন গোতাবায়া। তিনি এসজেবি ও টিএনএর সঙ্গে মিলে জোট সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে এ দল দুটির ৬৪ জন সদস্য রয়েছেন। গোতাবায়া সরকারের সমর্থনে ছিলেন জোটের ১৫০ জনের বেশি সদস্য। কিন্তু ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীন এসএলপিপি জোট থেকে ৪২ জন আইনপ্রণেতা নিজেদের সমর্থন তুলে নিয়েছেন।
১৯ এপ্রিলের আগে শ্রীলঙ্কায় পার্লামেন্ট বসছে না। পার্লামেন্ট বসার পরে বিরোধীরা গোতাবায়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তুলতে পারেন। সংকট নিরসনে রাজপথে বিক্ষোভ করছেন শ্রীলঙ্কার হাজারো মানুষ।