পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী দলগুলো। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সচিবালয়ে প্রস্তাবটি জমা দিয়েছে তারা। পিএমএল-এন দলের মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেবের বরাতে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভি এসব তথ্য জানিয়েছে।
জেইউআই-এফের শাহিদা আক্তার আলি, পিমএমএল-এনের খাজা সাদ রফিক, মরিয়ম আওরঙ্গজেব, আয়াজ সাদিক, রানা সানাউল্লাহ, খাজা সাদ রফিক এবং পিপিপির নাভিদ কামার ও শাজিয়া মারি অনাস্থা প্রস্তাবটি জমা দেন। এ নিয়ে আলোচনা করতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অধিবেশন আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
পিএমএল-এন দলের মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেবের বরাতে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, বিভিন্ন বিরোধী দলের মোট ১৫২ জন আইনপ্রণেতা অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন। সূত্রের তথ্যমতে, আজ বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে পিপিপির সহসভাপতি আসিফ আলী জারদারি, পিএমএল-এনের নেতা শাহবাজ এবং জেইউআই-এফের প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমান বক্তব্য দেবেন।
এক দিন আগেই পাঞ্জাবের সাবেক জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী আলিম খান পিটিআইয়ের জাহাঙ্গীর খান তারিনের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিয়েছেন। অবশ্য অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হলে তাঁরা কাকে সমর্থন করবেন, সে ব্যাপারে জানা যায়নি।
জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরানোর ব্যাপারে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী বিরোধী দলগুলো। তারা দাবি করেছে, পিটিআইয়ের ২৮ জন আইনপ্রণেতা এবং সরকারি জোটের আরও কয়েকজন নেতার সমর্থন আছে তাদের সঙ্গে। সব মিলে ২০২ জন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সদস্যের সমর্থন থাকার দাবি করেছে তারা। পিএমএল-এনের প্রতি সমর্থন রয়েছে কমপক্ষে ১৬ জন পিটিআই নেতার, ৪ জনের সমর্থন রয়েছে পিপিপির প্রতি এবং ২ জন সমর্থন করেন জেইউআই-এফকে। ইতিমধ্যে আরও ছয় পিটিআই সদস্য বলেছেন পিটিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে তাদের।