বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। রোজকার সব ঘটনা কি আমরা মনে রাখি? তবে কিছু বিষয় স্থায়ীভাবে দাগ কাটে মানুষের মনে, কিছু কিছু ঘটনা ইতিহাসের পাতায় উঠে যায়। তেমনই কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ২৯ জুলাই। চলুন দেখি, বিশ্বে এদিন কী বড় বড় ঘটনা ঘটেছিল। ‘অন দিস ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম
১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই, রাজকীয় আয়োজনে ধুমধাম করে বিয়ে হয় ব্রিটিশ প্রিন্স চার্লস (এখন রাজা তৃতীয় চার্লস) ও ডায়ানা স্পেনসারের। বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এই বিয়ের আয়োজন। লন্ডনের সেইন্ট পলস গির্জায় বিয়ে হয়েছিল চার্লস-ডায়ানার। এই দম্পতির দুই ছেলে—প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি।
পরবর্তী সময় গণমানুষের প্রিন্সেস হয়ে উঠেছিলেন ডায়ানা। কিন্তু রাজপরিবারে সুখে ছিলেন না তিনি। এর জেরে চার্লসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁর। পরে ফ্রান্সের প্যারিসে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ডায়ানা। এরপর চার্লস বিয়ে করেন ক্যামিলাকে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ সিংহাসনে বসেছেন চার্লস। আর ডায়ানাকে তাঁর মানবপ্রেম, ফ্যাশন সচেতনতার জন্য বিশ্বজুড়ে স্মরণ করা হয়।
কিছুদিন আগেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেমেছে। ভয়াবহ এই যুদ্ধের ক্ষত সামলাচ্ছে বিশ্ব। এর মধ্যে ইউরোপে ধীরে ধীরে ভিত শক্ত করছে কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদীরা। ১৯২১ সালের ২৯ জুলাই জার্মানির রাজনীতিবিদ অ্যাডলফ হিটলার দেশটির নাৎসি দলের প্রধান হন। ১৯৩৩ সালে এই দল জার্মানিতে ক্ষমতায় আসে। এর পরের ইতিহাস কম-বেশি সবার জানা। নাৎসি নেতা হিটলারের হাত ধরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়ায় জার্মানি। দুই দশকের মাথায় আরেকটি রক্তক্ষয়ী বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি হতে হয় মানুষকে।
ফ্রান্সের প্যারিস শহরে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় একটি জায়গা আর্ক দে ত্রিয়োম্ফ। ১৮৩৬ সালের এই দিনে ফরাসি সম্রাট লুই-ফিলিপ এই স্থাপনা উদ্বোধন করেন। ফ্রান্সের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে যেসব সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের স্মরণে এই স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
বলিউডের অন্যতম সফল তারকাদের একজন সঞ্জয় দত্ত। সঞ্জয়ের জন্ম ১৯৫৯ সালের ২৯ জুলাই। বাবা সুনীল দত্ত ছিলেন অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক ও রাজনীতিবিদ। আর মা নার্গিস হিন্দি সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী। ক্যানসারে মারা যান তিনি। সিনেমার হিরো সঞ্জয়ের জীবন বাঁকে পূর্ণ। মাদকের কড়াল থাবা, সন্ত্রাসবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগ, কারাবাস—এমন নানা ঘটনায় পূর্ণ তাঁর জীবন। সঞ্জয়কে নিয়ে খবরের পর খবর ক্লান্ত করেনি ভক্তদের। এরপরও সঞ্জয়ের অভিনীত সিনেমাগুলো ভক্তদের উজ্জীবিত করে রেখেছে আজও।