মাঝ আকাশে পাইলট বুঝলেন তাঁর আসনের নিচে গোখরো

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্যক্তিগত ছোট উড়োজাহাজটি প্রায় ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল। নিশ্চিন্ত মনে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরোহীরা। কিন্তু একপর্যায়ে গিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারলেন না পাইলট। নিজের আসনের নিচে তিনি সাপের অস্তিত্ব টের পেলেন। যেনতেন সাপ নয়, এটা যে বিষাক্ত গোখরো! এরপর উড়োজাহাজ নিয়ে জরুরি অবতরণ করেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকায় গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে। চারজন যাত্রী নিয়ে উড়োজাহাজটি দেশটির ওরচেস্টার থেকে নেলসপ্রুট যাচ্ছিল। পরে উড়োজাহাজটি দেশটির ওয়েলকম শহরের বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।

পাইলট রুডলফ ইরাসমাস বলেন, মাঝ আকাশে তিনি পিঠের নিচের দিকে ঠান্ডা কিছু একটা অনুভব করছিলেন। পরে তাকিয়ে দেখেন, তাঁর আসনের নিচে মোটামুটি বড় একটা গোখরো সাপ মাথা লুকিয়ে আছে।

বিষয়টি বুঝতে পাইলট রুডলফের কিছুক্ষণ সময় লাগে। তারপরও তিনি ঘাবড়ে না গিয়ে উড়োজাহাজটিকে দ্রুত জরুরি অবতরণ করানোর সিদ্ধান্ত নেন।

পাইলট রুডলফ বলেন, ‘আমি সাপটির দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সাপ নিয়ে আমার তেমন ভীতি নেই। তবে এটা সত্য, আমি কখনো সাপের খুব কাছে যাইনি।’

পাইলট যখন সাপের অস্তিত্ব টের পান, তখন উড়োজাহাজটি দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় ওয়েলকম শহরের বিমানবন্দরের কাছে ছিল। জরুরি অবতরণের অনুমতির জন্য পাইলট তখন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন করেন। ফোন করার পর তাঁকে উড়োজাহাজটি নিয়ে আরও ১০ থেকে ১৫ মিনিট আকাশেই থাকতে হয়। পরে তিনি নিরাপদে উড়োজাহাজটিকে অবতরণ করান।

অবতরণের পর উড়োজাহাজটিতে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু সাপটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। সাপটি সবার অলক্ষ্যে উড়োজাহাজ থেকে বেরিয়ে গেছে নাকি রয়ে গেছে, তা পরিষ্কার নয়।