নাইজেরিয়ার আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে যাঁরা ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন’ করবে, তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ভিসা দেবে না ওয়াশিংটন। খবর সিএনএনের।
গত বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দেন। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি নাইজেরিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এমন ঘোষণা এল।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়, নাইজেরিয়ায় গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন করার সঙ্গে জড়িত বা দায়ী ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ভিসা পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এ ধরনের ব্যক্তিদের পরিবারের কিছু সদস্যও বিধিনিষেধের আওতায় আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতিমালার আওতায় ইতিমধ্যে নাইজেরিয়ার কোনো ব্যক্তি এসেছেন কি না, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
তবে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, নাইজেরিয়ার ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্নকারী ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে নাইজেরিয়ার জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা, তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন-অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নাইজেরিয়ার আসন্ন নির্বাচন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারির উত্তরসূরি নির্ধারণ করবে। বুহারি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন। সংবিধান অনুযায়ী, তিনি আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।