নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ সোমবার শপথ নেবেন বোলা তিনুবু। তিনি মুহাম্মদু বুহারির স্থলাভিষিক্ত হবেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। বিতর্কিত এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন অল প্রগ্রেসিভস কংগ্রেসের প্রার্থী তিনুবু ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন। ১৯৯৯ সালের পর সবচেয়ে কমসংখ্যক ভোটে তিনি জয়ী হয়েছেন।
তিনুবুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী আতিকু আবুবক্কর ২৯ শতাংশ ভোট পান। আর লেবার পার্টির পিটার ওবি পান ২৫ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন তিনুবুর প্রধান দুই প্রতিপক্ষ। তাঁরা নির্বাচনে তিনুবুর জয়ের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করেছেন।
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তিনুবুর প্রধান দুই প্রতিপক্ষের মূল যুক্তির ওপর কাল মঙ্গলবার একটি ট্রাইব্যুনালে শুনানি শুরু হওয়ার কথা। তবে এ বিষয়ে আগামী সেপ্টেম্বরের আগে কোনো রায় আসবে বলে মনে হয় না।
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে চলমান এই বিতর্কের মধ্যেই তিনুবু আজ নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিচ্ছেন।
বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জেরে নাইজেরিয়ার জনগণের মধ্যে বিভক্তি আরও বেড়েছে। দেশটির অর্থনীতি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতিও অবনতিশীল। এই পরিস্থিতির জন্য তিনুবুর পূর্বসূরি বুহারিকেই দায়ী করে থাকেন অনেকে। ফলে নাইজেরিয়ার অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতির জন্য তিনুবুর ওপর চাপ থাকবে।
বার্তা সংস্থা এএফপি আগে এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নাইজেরিয়ার লাগোসের একটি মুসলিম পরিবারে তিনুবুর জন্ম। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন। অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে তিনি ডিগ্রি নেন। তিনি একাধিক মার্কিন কোম্পানিতে কাজ করেছেন। ১৯৮৩ সালে তিনি দেশে ফেরেন। ১৯৯২ সালে তিনুবুর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়। তিনি শুরুতে একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। নাইজেরিয়ায় গণতান্ত্রিক শাসনের প্রত্যাবর্তনের জন্য তিনি আন্দোলন-সংগ্রাম করেন। এ জন্য তাঁকে ১৯৯৪ সালে নির্বাসনে যেতে হয়। ১৯৯৮ সালে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
এএফপির একই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৮ সালে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনুবু লাগোস পশ্চিম আসন থেকে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি লাগোস রাজ্যের গভর্নর হন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। ৭০ বছর বয়সী তিনুবুকে নাইজেরিয়ায় বলা হয়, ‘রাজনৈতিক গডফাদার’। রাজনৈতিক কৌশলগত দক্ষতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তির জন্য তিনি এই নামে খ্যাত।