একটি বেস ক্যাম্পে যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজারের পতাকা উড়ছে। ছবিটি ২০১৮ সালের
একটি বেস ক্যাম্পে যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজারের পতাকা উড়ছে। ছবিটি ২০১৮ সালের

নাইজারে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান থাকা ঘাঁটিতে রুশ সেনাদের প্রবেশ

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ করেছেন রুশ সেনারা। এই বিমানঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান রয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি নাইজারের সামরিক জান্তা সে দেশ থেকে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। এমন প্রেক্ষাপটে নাইজারে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান থাকা বিমানঘাঁটিতে রুশ সেনা প্রবেশের ঘটনা ঘটল।

নাইজারের জান্তা গত মার্চ মাসে ওয়াশিংটনকে জানিয়ে দেয়, দেশটিতে থাকা মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রায় ১ হাজার সদস্যকে অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে। এখন নাইজারের বিমানঘাঁটিতে রুশ বাহিনী মোতায়েনের খবর এল।

গত বছরের জুলাইয়ে নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। জান্তার ক্ষমতা দখলের আগে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে আইএস ও আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল নাইজার। অঞ্চলটিতে এখন প্রাণঘাতী সহিংসতা বেড়ে যেতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা রয়টার্স গতকাল বৃহস্পতিবার বলে, বিমানঘাঁটিতে রুশ সেনাদের উপস্থিত রয়েছে। তবে বিমানঘাঁটিতে মুখোমুখি পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

‘এয়ারবেজ ১০১’ নামের বিমানঘাঁটি নাইজারের রাজধানী নিয়ামির ডিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই অবস্থিত।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন বলেন, ‘এয়ারবেজ ১০১’-এ মার্কিন বাহিনী আছে। এটি নাইজার বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটি। সেখানকার একটি পৃথক কম্পাউন্ডে রাশিয়ার লোকজন আছে। তবে এই মুহূর্তে তিনি সেখানে মার্কিন বাহিনীর নিরাপত্তা, সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় কোনো সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন না।