সুদানে চলমান সংঘাতে ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৩ হাজার ৭০০ জন। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এই তথ্য জানিয়েছে। সংঘাতের কারণে সুদান থেকে নিজ নিজ নাগরিকদের সরিয়ে নিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশ।
১৫ এপ্রিল সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এই সংঘাতের এক পক্ষে রয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আছেন আরএসএফের প্রধান সাবেক মিলিশিয়া নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি।
সংঘাতের কারণে রাজধানী খার্তুমে বাড়ির ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন লাখো বাসিন্দা। অনেকে খাবার ও পানির অভাবে রয়েছেন।
দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে দেশটিতে একটি মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মার্কিন কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ১০০ জনকে তারা সরিয়ে নিয়েছে।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, সুদান থেকে তারা ব্রিটিশ কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করেছে। জার্মানি ও ফ্রান্স গতকাল ঘোষণা করে, তারা তাদের নাগরিকসহ অন্যদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
ইতালি, নেদারল্যান্ডস, গ্রিসসহ অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো বলেছে, তারা উদ্ধারপ্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা করছে।
তুরস্ক গতকাল ভোরে সড়কপথে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছিল। কিন্তু পরে বিস্ফোরণের ঘটনার জেরে তা স্থগিত করা হয়।
ভারত, ঘানা ও লিবিয়া বলেছে, তারা তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে। সুদান ছেড়ে কূটনীতিকসহ বিদেশিদের দলে দলে চলে যাওয়ার ঘটনা দেশটির নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তাঁদের ভাষ্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে কূটনীতিকেরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে পারতেন, কিন্তু তাঁরা চলে গেলে কী হবে, তা নিয়েই তাঁদের উদ্বেগ।