নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ভোট গণনায় দেশটির ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী বোলা টিনুবু এগিয়ে আছেন। গতকাল সোমবার রাত নাগাদ নাইজেরিয়ার নির্বাচন কমিশন এমন তথ্য জানিয়েছে। এদিকে নির্বাচনে জালিয়াতি হওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী কয়েকটি দল। গতকাল একটি ভোট গণনাকেন্দ্র থেকে কয়েকটি দল ওয়াকআউট করেছে।
গত শনিবার নাইজেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন ক্ষমতাসীন দল এপিসির নেতা এবং লাগোসের সাবেক গভর্নর বোলা টিনুবু, প্রধান বিরোধী দল পিডিপির প্রার্থী আতিকু আবুবকর এবং লেবার পার্টির নেতা পিটার ওবি। নাইজেরিয়ার আধুনিক গণতন্ত্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গতকাল সোমবার রাত পর্যন্ত ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ১৪টি রাজ্যের ভোট গণনা হয়েছে। নাইজেরিয়ার নির্বাচন কমিশন (আইএনইসি) বলছে, এই ১৪টি রাজ্যের মধ্যে টিনুবু ৬টি রাজ্যে জয়ী হয়েছেন। আর আবুবকর ৫ রাজ্যে এবং ওবি ৩টি রাজ্যে জয় পেয়েছেন।
নাইজেরিয়ার নির্বাচন কমিশনের (আইএনইসি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে এপিসি পার্টির নেতা টিনুবু ৩৮ লাখের বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে গেছেন। আবু বকর ৩০ লাখ ভোট এবং ওবি ১৬ লাখ ভোট পেয়েছেন। তবে এপিসি এবং পিডিপির আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করে ওবি লাগোসের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে জয় পেয়েছেন।
শনিবার বেশির ভাগ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হলেও কিছু ভোটকেন্দ্রে লুটপাট হয়েছে। বেশ কিছু কেন্দ্রে দেরিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিলম্বে ভোট গ্রহণের কারণে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ফল আপলোড করতে ধীরগতি দেখা গেছে। নাইজেরিয়ার স্থানীয় ভোটকেন্দ্রগুলোয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হাতে গণনা করা হয়। এরপর নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় ডেটাবেজে ফল আপলোড করা হয়।
ভোটগ্রহণে বিলম্ব এবং বিভিন্ন রাজ্যের ফল আপলোডে ধীরগতির কারণে বিরোধীরা ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন। গতকাল আবুজার একটি ভোট গণনাকেন্দ্র থেকে পিডিপি ও অন্য দলের এজেন্টরা ওয়াক আউট করেন। নাইজেরিয়ার নির্বাচন কমিশন আপস করছে বলে অভিযোগ করেছে পিডিপি।
আন্তর্জাতিক মান সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে (নাইজেরিয়ার সময় বেলা ১১টা) দেশটির নির্বাচন কমিশন আবারও ভোটের ফল ঘোষণা শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদত্যাগ করছেন মুহাম্মাদু বুহারি। সমালোচকেরা বলছেন, নাইজেরিয়াকে নিরাপদ করার অঙ্গীকারগুলো পূরণে বুহারি ব্যর্থ হয়েছেন। তবে নাইজেরিয়ার ভোটারদের আশা, দেশের নিরাপত্তাহীনতা, অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও দারিদ্র্য মোকাবিলায় নতুন নেতা ভালোভাবে ভূমিকা রাখবেন।