মিসরকে ম্যালেরিয়ামুক্ত দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ অর্জন দেশটির জন্য সত্যিকার অর্থে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘মিসরীয় সভ্যতার মতোই প্রাচীন রোগ ম্যালেরিয়া। রোগটি মিসরের ফারাওদের জন্যও বড় ধরনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এখন থেকে মিসরের জন্য রোগটি শুধুই ইতিহাস।’
মিসরের কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০০ বছর আগে প্রাণঘাতী মশাবাহিত সংক্রামক রোগটি নির্মূল করার জন্য প্রথম প্রচেষ্টা শুরু করে। প্রায় তিন বছর ধরে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণের ধারা রুখে দিতে সক্ষম হওয়ায় দেশটিকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ম্যালেরিয়ায় বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ছয় লাখ মানুষ মারা যায়। এর বেশির ভাগই আফ্রিকা মহাদেশে।
গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে এই রোগের অবসান ঘটানোর জন্য মিসরের সরকার ও জনগণের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির বলেছে, ডব্লিউএইচওর পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় দেশ হিসেবে ম্যালেরিয়ামুক্ত দেশের স্বীকৃতি পেল মিসর। এর আগে অঞ্চলটিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো এই স্বীকৃতি পেয়েছিল।
বিশ্বজুড়ে ৪৪টি দেশ ও একটি অঞ্চল ম্যালেরিয়ামুক্ত হওয়ার মাইলফলক অর্জন করেছে। তবে ডব্লিউএইচও বলেছে, এই স্বীকৃতি একটি নতুন অধ্যায়ের শুরু মাত্র। মিসরের প্রতি এই স্বীকৃতি ধরে রাখার আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।