দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জনস্বার্থে দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির সাধারণ নির্বাচনে তিন দশকের মধ্যে তাঁর দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর গতকাল রোববার তিনি এ আহ্বান জানান। তবে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নতুন দল উমখুনটো উই সিজের (এমকে) নেতা জ্যাকব জুমা নির্বাচনের ফল অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। তাঁর দল নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। এতে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার গত বুধবারের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল অনুযায়ী, রামাফোসার দল ক্ষমতাসীন এএনসি জাতীয় পরিষদে ৪০০টির মধ্যে ১৫৯টি আসন পেয়েছে, যা তাদের সাধারণ নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। দেশটিতে ডানপন্থী বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) ৮৭ আসন ও এমকে ৫৮ আসন পেয়েছে। বামপন্থী দল ইইএফ পেয়েছে ৩৯ আসন।
এখন দেশটিতে দুই সপ্তাহের মধ্যে পার্লামেন্টে নতুন সরকার ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে। তবে ১৯৯৪ সালের পর থেকে দেশটিতে এবারই প্রথম কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেনি। ফলে রামাফোসাকে এখন প্রেসিডেন্ট পদে আসতে হলে জোট গঠনের ওপর নির্ভর করতে হবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী ফল ঘোষণার অনুষ্ঠানে রামাফোসা সব দলকে নির্বাচনের ফলকে মেনে নিতে ও একসঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা পছন্দ করি বা না করি, আমাদের জনগণ তাদের রায় দিয়েছে। রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে তাদের এই ইচ্ছাকে আমাদের অবশ্যই সম্মান দেখাতে হবে।’
এদিকে এএনসির সঙ্গে জোট করা নিয়ে এমকে রামাফোসার পদত্যাগ দাবি করেছে। এএনসি বলেছে, প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার পদত্যাগের কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা প্রতিদ্বন্দ্বী জ্যাকব জুমার দলের কাছ থেকে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন।