সুদানে দুই পক্ষের লড়াইয়ে নিহত প্রায় ২০০

সুদানে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
ছবি: এএফপি

সুদানে সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে তিন দিনের লড়াইয়ে প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত ১ হাজার ৮০০ জন। সুদানে জাতিসংঘ মিশনের প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুই পক্ষের মধ্যে চলমান এ সংঘাতে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে সহায়তা কার্যক্রম।

ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পক্ষ দুটির মধ্যে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলছিল। এ উত্তেজনা গত শনিবার সংঘাতে রূপ নেয়।

চলমান সংঘাতের এক পক্ষে রয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আছেন আরএসএফের প্রধান সাবেক মিলিশিয়া নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি। এই দুই জেনারেল ২০২১ সালে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সুদানের ক্ষমতা দখল করেছিলেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজধানী খার্তুমের যে লড়াই, তা নজিরবিহীন। এ লড়াই দীর্ঘায়িত হতে পারে।

দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই বন্ধে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মহল থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। কূটনীতিকেরাও তৎপরতা চালাচ্ছেন।

সুদানে জাতিসংঘ মিশনের প্রধান ভলকার পার্থেস গতকাল সোমবার নিরাপত্তা পরিষদকে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জানান, উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে কমপক্ষে ১৮৫ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ১ হাজার ৮০০ জন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আজ মঙ্গলবার বলেন, তিনি সুদানের দুই জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ আলাপে সুদানে জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

টুইটারে ব্লিঙ্কেন বলেন, সুদানে ইতিমধ্যে অনেক বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটিতে অবস্থানরত কূটনৈতিক ও সাহায্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

গতকাল জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আবার সুদানের লড়াইরত পক্ষগুলোকে অবিলম্বে বৈরিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, আরও সংঘাত সুদান ও অঞ্চলটির জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে।