রহস্যে ঘেরা মিসরের পিরামিড। হাজার হাজার বছর আগে এই পিরামিড কীভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল, তা নিয়ে গবেষণা ও জল্পনাকল্পনার অন্ত নেই। তবে বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক একটি আবিষ্কারে সে রহস্যের সমাধান হলেও হতে পারে। সাড়া জাগানো এ আবিষ্কারটি হলো নীল নদের মৃত একটি শাখা। কালের পরিক্রমায় সেটি মরুভূমির বালুর নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে নদের শাখাটি খুঁজে পাওয়ার বিষয় সামনে আনা হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ৬৪ কিলোমিটার। মিসরের ৩১টি পিরামিডের কাছ দিয়ে বয়ে গিয়েছিল নদীটি। এর মধ্যে বিখ্যাত গিজার পিরামিডও রয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই শাখা নদ দিয়ে পাথরের বড় বড় খণ্ড বহন করে ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০ বছর আগে পিরামিডগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল।
গবেষণাপত্রটি রচয়িতাদের একজন মেম্ফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজান ওনস্টাইন বলেন, ভারী পাথরখণ্ডগুলোর বেশির ভাগই আনা হয়েছিল মিসরের দক্ষিণাঞ্চল থেকে। জলপথে সেগুলো নিয়ে যাওয়াটা বেশ সহজ ছিল। এরপর পাথরগুলো স্থলপথে নির্মাণস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
পিরামিডের বিশালাকায় পাথরখণ্ডগুলো বহন করতে যে জলপথ ব্যবহার করা হয়েছিল, সে ধারণা আগেও ছিল প্রত্নতত্ত্ববিদদের। তবে এমন কোনো জলপথের অবস্থান ও আকার নিয়ে কেউ নিশ্চিত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন ওই গবেষণাপত্রের প্রধান রচয়িতা ও যুক্তরাষ্ট্রের উইলমিংটনে অবস্থিত ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমান গোনেইম।
গবেষক সুজান ওনস্টাইন বলেন, ‘নীল নদের শাখা আবিষ্কার করাটা আমাকে ভূগোল, জলবায়ু, পরিবেশ ও মানুষের আচরণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।’