নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরিগা শহরের দুটি স্কুল থেকে ২৮০ জনের বেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। স্থানীয় কর্মকর্তারা খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, নাইজেরিয়ার স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে অ্যাসেম্বলি চলার সময় মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন বন্দুকধারী সেখানে ঢুকে পড়ে। অপহৃত শিক্ষার্থীদের বয়স ৮ থেকে ১৫ বছর। তাদের সঙ্গে একজন শিক্ষককেও অপহরণ করা হয়েছে।
নাইজেরিয়ায় অপহরণকারী চক্রগুলো দস্যু বাহিনী হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কয়েক শ মানুষকে অপহরণ করেছে তারা। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অপহরণের ঘটনা বেশি ঘটেছে। তবে গত বছর থেকে শিশুদের গণহারে অপহরণের ঘটনা কমতে দেখা গিয়েছিল।
কুরিগা শহরটি কাদুনা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। এ রাজ্যের গভর্নর উবা সানি কুরিগায় স্কুলে অপহরণের খবর নিশ্চিত করে বলেন, একটি সরকারি মাধ্যমিক স্কুল থেকে ১৮৭ জন ও প্রাথমিক স্কুল থেকে ১২৫ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে ২৫ জন পালিয়ে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বন্দুকধারীর গুলিতে আহত একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বন্দুকধারীদের কাছ থেকে পালিয়ে আসা একজন শিক্ষক বলেন, স্থানীয় লোকজন অপহৃত শিশুদের উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন। তবে বন্দুকধারীদের সঙ্গে তাঁরা পেরে ওঠেননি। এ সময় এক ব্যক্তি নিহতও হন।
এদিকে অপহৃত শিক্ষার্থীদের খুঁজে পেতে নাইজেরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।
এ ঘটনার কয়েক দিন আগে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে যাওয়া কয়েকজন নারী ও শিশুকে অপহরণ করা হয়। সশস্ত্র গোষ্ঠী বোকো হারামের সদস্যরা তাঁদের অপহরণ করেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এ দুই অপহরণের ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই।
এর আগে গত জানুয়ারিতে কুরিগাতে দস্যু বাহিনীর হামলায় একটি স্কুলের অধ্যক্ষ নিহত হন। তাঁর স্ত্রীকে অপহরণ করা হয়।