মিসরের গিজার গ্রেট পিরামিডের ওপর দিয়ে প্যারাগ্লাইডারে চড়ে দৃশ্য উপভোগ করছিলেন এক পর্যটক। মিসরের ১১৮টি পিরামিডের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ও উঁচু। এসব পিরামিডে ওঠা নিষিদ্ধ বা ওঠার ব্যবস্থা নেই বলে এখানে ওপরের দৃশ্য দেখার একমাত্র উপায় হলো প্যারাগ্লাইডিং।
অ্যালেক্স ল্যাং নামের ওই পর্যটক যখন প্যারাগ্লাইডারে চড়ে প্রাচীন যুগের গ্রেট পিরামিডের ওপরের দৃশ্য উপভোগ করছিলেন, ঠিক তখনই হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ল, পিরামিডের এক কোনায় কিছু একটা নড়াচড়া করছে। ভালো করে লক্ষ করে দেখেন, পিরামিডের একেবারে ওপরে একটি কুকুর পাখিদের তাড়া করছে।
এই কুকুর পিরামিডের এত উঁচুতে কীভাবে উঠল বা সেটি পরে নেমে এল কি না, সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি।
পিরামিডের ওপরের অপ্রত্যাশিত এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অবাক করে দিয়েছে। কারণ, গ্রেট পিরামিডের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে পর্যটকদের পিরামিডের ওপর ওঠা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
মনে হচ্ছে, কারও সহযোগিতা ছাড়াই কুকুরটি পিরামিডের চূড়ায় উঠে গেছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে অনলাইন ব্যবহারকারীদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–এ বিষয়টি নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন ব্যবহারকারীরা।
এক এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এটি এখন তার পিরামিড। সে এটি জয় করেছে।’
আরেকজন কৌতুক করে লিখেছেন, ‘মাঝেমধ্যে তুমি সর্বোচ্চ এই শৃঙ্গে উঠো এবং পাখিদের লক্ষ্য করে ঘেউ ঘেউ কোরো।’
তৃতীয় আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এটি কুকুর নয়। এটি হচ্ছে মিসরীয় ঈশ্বর আনুবিস। এই আনুবিসকে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের গাইড ও মন্দিরের রক্ষক বলে বিবেচনা করা হয়। এ কারণে সে পিরামিডের ওপরে।’
মিসরের গিজার প্রাচীন গ্রেট পিরামিড নিয়ে পৃথিবীর মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। ফারাও রাজা খুপুর রাজত্বকালে খ্রিষ্টপূর্ব ২৫৮০ থেকে ২৫৬৫ সালের মধ্যে এই পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। গিজার তিনটি অসাধারণ পিরামিডের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। গ্রেট পিরামিড ইউনেসকোর ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য।