নাইজারে অস্থিতিশীলতা থেকে সুবিধা নিচ্ছে ভাগনার: ব্লিঙ্কেন

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী রুশ প্রতিষ্ঠান ভাগনার সেনা অভ্যুত্থানে অস্থিতিশীল নাইজারের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ২৬ জুলাই নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের সদস্যরা। অভ্যুত্থানের পর নাইজারের প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের প্রধান আবদুর রহমান চিয়ানি নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ঘোষণা করেন।

বিবিসিকে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি মনে করি, নাইজারে যা ঘটেছে এবং যা ঘটছে, তা রাশিয়া বা ভাগনারের প্ররোচনায় হয়নি। তবে তারা এ থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেখানেই ভাগনার গ্রুপ, সেখানেই মৃত্যু, ধ্বংস এবং শোষণ-বঞ্চনার শিকার হয়েছেন জনসাধারণ।’

এদিকে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড নাইজার সফর করেন। এ সময় তিনি বলেন, দেশটির সামরিক নেতৃত্ব ভাগনারের সঙ্গে অংশীদারত্বের ‘ঝুঁকি’ সম্পর্কে অবগত আছেন।

এর আগে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, অলাভজনক বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউফান সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও সাংবাদিক ওয়াসিম নাসের বলেছেন, অভ্যুত্থানকারী নেতা জেনারেল সালিফো মোদি সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ মালি সফর করেছেন। সেখানে তিনি ভাগনারের একজন প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে বাহিনীটির যোদ্ধাদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

ওয়াসিম নাসের বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকা নিশ্চিত করতে জান্তা সরকারের ভাগনারের সহযোগিতা প্রয়োজন। ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি নাইজারের অভ্যুত্থানকারীদের অনুরোধ রাখতে পারে।

নাইজারের প্রতিবেশী দেশ মালি, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে ভাগনার যোদ্ধাদের উপস্থিতি রয়েছে। এসব দেশে বাহিনীটির বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ এনেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও পশ্চিমা সরকারগুলো।