রাফা শহরে ইসরায়েলের সর্বশেষ আক্রমণের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে নতুন করে জরুরি ব্যবস্থা চেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আদালতের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়েছে।
এ নিয়ে তৃতীয়বার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে জরুরি ব্যবস্থা চেয়ে আবেদন করল দেশটি। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনে গণহত্যার অভিযোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা যে বিচার চেয়েছে, তার জন্য নিন্দা করেছে ইসরায়েল।
দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাফায় ইসরায়েলের অভিযানে মানবিক সহায়তা এবং মৌলিক পরিষেবা, ফিলিস্তিনি চিকিৎসারব্যবস্থার টিকে থাকা ও গাজায় ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার জন্য চরম ঝুঁকির সৃষ্টি করছে। আবেদনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার কনভেশনের ক্রমাগত লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইনকে অপমান করেছে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে দ্রুত রাফা থেকে ইসরায়েলি সেনা সরিয়ে নিতে পদক্ষেপের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে আদালতের কাছে একটি আদেশের দাবি করা হয়েছে, যাতে ইসরায়েলকে গাজায় জাতিসংঘ এবং মানবিক সহায়তা প্রদানকারী অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোকে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করে। সেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন যার অধিকাংশ নারী ও শিশু। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, হামাসকে নির্মূল করতে রাফায় অভিযান প্রয়োজন। রাফায় লাখো আশ্রয়হীন মানুষ অবস্থান করছেন। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, সেখানে স্থল অভিযান চালানো হলে বেসামরিক লোকজনের জন্য ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
গত জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এক আদেশে ইসরায়েলকে গণহত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। রাফায় হামলা বন্ধে জরুরি ব্যবস্থা বন্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় আরেকটি আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন আদালত। মার্চের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা আরেকটি নতুন আবেদন করে।
রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে ভূমিকা রাখে জাতিসংঘের এই আদালত। এর আদেশ মানতে বাধ্য হলেও তা প্রয়োগের কোনো কার্যকর উপায় আদালতের হাতে নেই। এ আদালতের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে আদেশ দেওয়া হয়েছে।