প্রায় এক মাস আগে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেল মাদজিদ তেবিউনের খোঁজখবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর থেকে তাঁকে আর দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। আলজেরিয়াবাসী তাঁদের প্রেসিডেন্টের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইছেন।
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর গত অক্টোবর মাসের শেষ দিকে চিকিৎসার জন্য জার্মানি গিয়েছিলেন তেবিউন। এরপর থেকে তাঁকে নিয়ে জনসম্মুখে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের শারীরিক পরিস্থিতির বিষয়টি আলজেরিয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে।
আলজেরীয়বাসীর ধারণা, তেবিউনের পরিস্থিতি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদেল আজিজ বুতেফ্লিকার মতোই। ২০১৩ সালে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। ফ্রান্সের হাসপাতালে তাঁকে অনেক দিন কাটাতে হয়। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি।
গত সপ্তাহে আলজেরিয়ার প্রেসিডন্টের অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্টের কোভিড-১৯ চিকিৎসা প্রটোকল সম্পন্ন হয়েছে। তবে কবে নাগাদ তিনি দেশে ফিরবেন, তা নিশ্চিত করা হয়নি।
দেশটির সরকারপন্থী সংবাদপত্রগুলোতে জার্মানিতে চিকিৎসা শেষ করে প্রেসিডেন্টের দ্রুত দেশে ফেরার কথা বলা হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে দেশটিতে বহুল আলোচিত সংবিধান সংশোধনী গণভোটে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
বিশ্বে যে স্বল্প কয়েকজন নেতা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, তার তালিকায় রয়েছেন তেবিউন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, আলজেরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভের পর সংবিধান পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তেবিউন। ওই বিক্ষোভের ২০ বছর পর ক্ষমতাচ্যুত হন আবদেল আজিজ বুতেফ্লিকা।
গত বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনের পর নতুন সংবিধান নিয়ে কাজ শুরু করেন আবদেল মাদজিদ তেবউন। এতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মেয়াদ সীমিত করার পাশাপাশি পার্লামেন্ট ও বিচারব্যবস্থা শক্তিশালী করার কথা বলা হয়েছে।