সেনেগালের পশ্চিমাঞ্চলীয় তিভাউয়ানে শহরের একটি হাসপাতালে আগুন লেগে ১১ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তিন শিশুকে। শহরের মেয়র দেম্বা দিওপ সাইয়ের বরাতে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় গত বুধবার মামে আবদু আজিজ সাই দাবাখ হাসপাতালের প্রসূতি ইউনিটে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে স্বজনেরা হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। ঘটনাস্থলে আবদু নামের এক তরুণ আহাজারি করছিলেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘গত মাসে আমার ভাবী সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মারা যান। সাত মাসেই শিশুটির জন্ম হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছিল। আর এখন আগুনে পুড়ে গেল সে।’
মুস্তফা চিস নামের একজন রয়টার্সকে বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় তাঁর তিন সপ্তাহের ভাতিজা মোহাম্মদও মারা গেছে। তার মা রামাতা গুয়েয়েও সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মারা গেছেন। মুস্তফা আরও বলেন, তাঁর ভাই-ভাবীর বিয়ের সাত বছর পর প্রথম সন্তান মোহাম্মদের জন্ম হয়েছিল।
ভাই এল হাদিজ গুয়েয়ের অবস্থা সম্পর্কে মুস্তফা বলেন, ‘স্ত্রীকে হারানোর পর এবার সন্তানকেও হারালেন তিনি। এটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। এমনকি আমি তাঁর চোখের দিকেও তাকাতে পারছি না।’
‘এটি কি খোদার ইচ্ছে নাকি সেনেগালের হাসপাতালের ব্যর্থতা? সরকারের কাছে এ প্রশ্নটি আমাদের তুলতে হবে।’ বলেন মুস্তফা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনেগালের বিভিন্ন হাসপাতালের বেহাল অবস্থা নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। ঘটনার পর সেনেগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুলায়ে দিউফ সারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালটি নতুন।
তিভাউয়ানে শহরের মেয়র বলেছেন, শর্টসার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে।