মাদাগাস্কারে মৌসুমি ঝড় ‘আনা’র আঘাতে কমপক্ষে ৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। আর মোজাম্বিকে প্রাণ হারিয়েছে ৩ জন। এ ছাড়া পূর্ব আফ্রিকার আরেক দেশ মালাওইর অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই তিন দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আজ মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছে।
মাদাগাস্কারের পূর্ব উপকূল থেকে এই ঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে বন্যায় দ্বীপটির বিভিন্ন এলাকা ভেসে গেছে, কাদায় ডুবে গেছে রাজধানী আন্তানানারিভোর বিভিন্ন এলাকা। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, দেশটিতে ৩৪ জন মারা গেছে। এক সপ্তাহ ধরে সেখানকার প্রায় ৬৫ হাজার বাসিন্দা গৃহহীন। এ ছাড়া দেশটির যে জেলাগুলো অপেক্ষাকৃত নিচু, সেগুলোয় এখনো সতর্কবার্তা জারি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া রাতভর উদ্ধারকাজ চলছে।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ইউনিট পরিচালক জন রাজাফিমান্দিম্বি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলমান।
এদিকে এই ঝড়ের প্রভাবে মোজাম্বিকের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া এসব এলাকায় ঝোড়ো বাতাস বইছে। দেশটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত তিনজন প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ৬৬ জন।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্টের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশটির ৩ হাজার ৮০০ মানুষ কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির একটি ক্লিনিক ও স্কুলের ১৬টি শ্রেণিকক্ষ ধসে গেছে।
ঝড় আনা প্রসঙ্গে জাতিসংঘের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই ঝড়ের কারণে বন্যা ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। এতে ভৌত অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অনেকে গৃহহীন হতে পারে।
এদিকে ঝড় আনার কারণে গত সোমবার মালাওইর অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। সেখানে বন্যার পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের জেনারেটর বন্ধ রেখেছে।