চেকইন, ইমিগ্রেশন, বোর্ডিং সবই হয় নির্বিঘ্নে। যাত্রীরা চেপে বসেন উড়োজাহাজে। নিরাপদে উড্ডয়নও করে উড়োজাহাজটি। এরপরই বাধে বিপত্তি। মধ্য আকাশে থাকা অবস্থায় হঠাৎই ককপিটে বিড়ালের হামলা। আক্রান্ত হন পাইলট। বাধ্য হয়ে তিনি দ্রুত উড়োজাহাজটির জরুরি অবতরণ করান। পাইলট আক্রান্ত হলেও যাত্রীরা ছিলেন নিরাপদে।
ঘটনাটি আফ্রিকার দেশ সুদানে। আল–সুদানি নিউজের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত বুধবার কাতারের উদ্দেশে ছেড়ে যায় টারকো এভিয়েশনের একটি উড়োজাহাজ। তবে উড্ডয়নের আধা ঘণ্টার মধ্যে উড়োজাহাজটি আবারও বিমানবন্দরে ফিরে আসে। জরুরি অবতরণের সংকেত দেন পাইলট। যাত্রীসহ নিরাপদে অবতরণ করে উড়োজাহাজটি।
এরপর জানা যায় আসল কাহিনি। উড্ডয়নের আধঘণ্টা পর ককপিটে বাড়তি প্রাণের উপস্থিতি শনাক্ত করেন পাইলট। পাইলট ও ক্রুদের বাইরে একটি বিড়াল দেখতে পান। বিড়ালটি ঝাঁপিয়ে পড়ে পাইলটের ওপর। আঁচড়ে–কামড়ে আহত করে তাঁকে। এ সময় ক্রুরা অনেক চেষ্টা করেও বিড়ালটিকে ধরতে পারেননি। এরপর আহত পাইলট উড়োজাহাজটিকে ঘুরিয়ে খার্তুমে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
বিড়ালটি কীভাবে উড়োজাহাজে প্রবেশ করেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, উড্ডয়নের আগের রাতে বিমানবন্দরে যখন উড়োজাহাজটির পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছিল, তখন কোনোভাবে বিড়ালটি এতে প্রবেশ করে। এরপর সেখানেই থেকে যায়।
উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের পর পরিবর্তিত পরিবেশে ঘাবড়ে যায় বিড়ালটি। মূলত এ কারণে হামলা চালিয়ে পাইলটকে আহত করে।
টারকো এভিয়েশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
প্রাণীর অনাকাঙ্ক্ষিত উপস্থিতির কারণে এর আগেও উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ কিংবা বিলম্বে যাত্রার ঘটনা ঘটেছে। গত বছর ভারতের আহমেদাবাদ থেকে জয়পুরগামী গোএয়ারের একটি উড়োজাহাজে দুটি কবুতর ঢুকে পড়ে। এ কারণে উড়োজাহাজটির যাত্রা করতে আধা ঘণ্টা বিলম্ব হয়।