নাইজেরিয়ায় এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে আবারও স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জামফারা প্রদেশের একটি স্কুলের ডরমেটরিতে ঢুকে অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা ৩১৭ জন ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় বলে পুলিশ জানায়। তবে এ অপহরণের দায় কেউ স্বীকার করেনি।
জামফারা প্রদেশের তথ্য কমিশনার সুলেয়মান তানাউ আনকা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, জাঙ্গেবে গ্রামের সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত যে তথ্য আছে, তা হলো মধ্যরাতে তারা (বন্দুকধারীরা) গাড়ি নিয়ে এসে ছাত্রীদের তুলে নিয়ে গেছে। কিছু ছাত্রীকে হাঁটিয়ে নিয়ে গেছে।’ নিরাপত্তা বাহিনী তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফও এ অপহরণের ঘটনা নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, তিন শতাধিক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। সংস্থাটির নাইজেরিয়ার প্রতিনিধি পিটার হাউকিন্স বলেছেন, ‘নাইজেরিয়ায় স্কুলছাত্রীদের ওপর আরেকটি নৃশংস হামলায় আমরা খুবই ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত।’
এএফপির খবরে বলা হয়, পুলিশের মুখপাত্র মোহাম্মদ শেহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, অপহৃত স্কুলছাত্রীদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতায় জামফারা প্রদেশের পুলিশ কমান্ড যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে।
ঘটনার পর অপহৃত ছাত্রীদের অভিভাবকেরা স্কুলে বাইরে এসে জড়ো হন। কেউ কেউ জঙ্গলের মধ্যে তাঁদের সন্তানের খোঁজ করতে থাকেন।
বিবিসিকে এক শিক্ষক বলেন, স্কুলে ওই সময় ৪২১ জন শিক্ষার্থী ছিল। এদের মধ্যে ৫৫ জন বাদে সবাইকেই অপহরণ করা হয়েছে।
নাইজেরিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে স্কুলগুলোকে টার্গেট করে অপহরণের সর্বশেষ ঘটনা এটি। দেশটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা স্কুলের শিশুদের অপহরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে।
গত সপ্তাহে নাইজার প্রদেশের কাগারা অঞ্চলে ৪২ জনকে অপহরণ করা হয়, যাদের মধ্যে ২৭ জন ছিল শিক্ষার্থী। গত ডিসেম্বরে কাটসিনা প্রদেশের কানকারা থেকে তিন শতাধিক স্কুলছাত্রকে অপহরণ করা হয়। পরে আলোচনার মাধ্যমে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে চিবুক থেকে ২৭৬ জন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম।