পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় ‘রহস্যজনক’ একটি রোগ দেখা দিয়েছে। আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অজ্ঞাত রোগটি দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। খবরে বলা হয়, এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা রক্তবমি করেন।
স্থানীয় চুনিয়া জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত কিছু ব্যক্তি কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মারা যান।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এই রোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তারা সংশ্লিষ্ট এলাকায় একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে।
অজ্ঞাত রোগ দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ধরনের মহামারির আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে এই ঘটনার জের ধরে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডরোথি গাওয়াজিমা।
স্থানীয় সিটিজেন সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অজ্ঞাত রোগের বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি অজ্ঞাত রোগের তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছিলেন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, অজ্ঞাত রোগের ক্ষেত্রে যে ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তা নতুন নয়। ২০১৮ সালের শুরুর দিক থেকেই এই ধরনের উপসর্গের কথা জানা যায়।
তানজানিয়ার জনসাধারণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, অজ্ঞাত রোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জনসাধারণকে অবহিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
করোনাভাইরাস মহামারির ভয়াবহতা উপেক্ষা ও তীব্রতা খাটো করে দেখানোর অভিযোগ আছে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে। তানজানিয়া গত বছরের জুনে করোনাসংক্রান্ত সরকারি তথ্য প্রকাশ বন্ধ করে দেয়।
করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ভেষজ প্রতিষেধকের মাধ্যমে তানজানিয়ার অধিবাসীদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা (ইমিউনিটি) বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
তবে ভেষজ ওষুধ করোনা ঠেকানোর ক্ষেত্রে কার্যকর কি না, তার পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ হাজির করেনি তানজানিয়ার সরকার।
তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি গত বছরই তাঁর দেশকে কারোনামুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, করোনার টিকা কেনার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
গত মাসের শেষ দিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাগুফুলি করোনার টিকার বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তানজানিয়ার নাগরিকদের গিনিপিগ হতে দেবেন না তিনি। টিকার ফলাফল সম্পর্কে প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি তাঁর জনগণের ক্ষতি হতে দিতে পারেন না।