জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয় সংস্থা ইউএনওসিএইচএ-এর প্রধান মার্ক লোকক বলেছেন, ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইথিওপিয়ার এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ ছাড়া ১৯৯১ সালে টিপিএলএফের নেতৃত্বে ইথিওপিয়া থেকে সামরিক সরকার উৎখাত করা হয়। এরপর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আবি আহমেদ ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগপর্যন্ত দেশটির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল এই গোষ্ঠীর হাতে। কিন্তু গত বছর ইথিওপিয়ার ফেডারেল সেনাবাহিনী এবং টিপিএলএফ-এর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এই সংঘর্ষের জেরে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সেখান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর মার্ক লোকক বলেন, সেখান এখন দুর্ভিক্ষ চলছে। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
জাতিসংঘের ওই বিশ্লেষণে বলা হয়েছিল, ইথিওপিয়ার ওই তাইগ্রে অঞ্চলে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ ‘ভয়ংকর সংকটের’ মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী আমহারা ও আফার এলাকার পরিস্থিতিও প্রায় একই রকম।
তাইগ্রে অঞ্চলে সংঘর্ষ শুরুর পর সেখানে কোনো সাহায্য সংস্থাকে ঢুকতে দিতে চাইছিল না আবি আহমেদের সরকার। জাতিসংঘের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সেখানকার খাদ্যসংকট ‘বিপর্যয়ের’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেখানকার মানুষ অনাহারে থাকছে, মারা যাচ্ছে।
এই অঞ্চলের সংকট সমাধান ও বিপর্যয়কর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।