ইথিওপিয়ার তাইগ্রে অঞ্চলে প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সেনাবাহিনীর নৃশংসতা চালানোর অভিযোগের নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
সংঘাতপীড়িত অঞ্চলটির সংকট সমাধানে সাহায্য করতে আফ্রিকা ইউনিয়ন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ব্লিঙ্কেনের বিবৃতির এক দিন আগে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, গত নভেম্বরে তাইগ্রের যুদ্ধে প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সেনাবাহিনী শত শত লোককে হত্যা করেছে। মানবাধিকার সংগঠনটি এই নৃশংসতাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মতো ঘটনা বলে বর্ণনা করে।
বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইথিওপিয়ার তাইগ্রে অঞ্চলে নৃশংসতার খবর এবং সামগ্রিক খারাপ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সেখানে মারাত্মক মানবাধিকার সংকটের বিষয়েও আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
গত নভেম্বরের প্রথম দিকে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ দেশটির উত্তরাঞ্চল তাইগ্রের ক্ষমতাসীন দল তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নেতাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের ঘোষণা দেন। এতে সরকারি ও টিপিএলএফ বাহিনী মধ্যে প্রাণঘাতী যুদ্ধে অঞ্চলটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনীর ব্যারাকের ওপর হামলার অভিযোগে ওই অভিযানের নির্দেশ দেন আবি। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া আবির এই পদক্ষেপে দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সরকারপন্থী সেনারা নভেম্বরের শেষে দিকে অঞ্চলটির রাজধানী মিকেলে দখলে নিলেও অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থানে এখনো লড়াই চলছে।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘তাইগ্রের সংকট মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে আন্তর্জাতিক অংশীদার, বিশেষ করে আফ্রিকা ইউনিয়ন ও আঞ্চলিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানাই।’ তাইগ্রে থেকে অবিলম্বে ইরিত্রিয়া ও আমহারা আঞ্চলিক বাহিনী প্রত্যাহার এবং সংকট সমাধানে প্রতিপক্ষ সব পক্ষকে ঐক্যমতে পৌঁছানোর আহ্বান জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।