তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার দেশটির আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এর মধ্যে সেনাবাহিনীর চিফ প্রসিকিউটর ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আতানিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এর আগে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে বরখাস্ত এবং পার্লামেন্ট স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট। এরপর গত সোমবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিচারবিষয়ক মন্ত্রীকেও বরখাস্ত করেন তিনি। এ কারণে রাজনৈতিক অসন্তোষ চরম আকার ধারণ করে। পার্লামেন্ট স্থগিত করার পর স্পিকার রাশেদ ঘানৌচির ডাকে রাস্তায় নেমে আসেন সরকার-সমর্থকেরা। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট সাইদবিরোধীরা একে সেনা অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে পার্লামেন্ট স্থগিতের ঘোষণায় সতর্কবার্তা দিয়েছে নাগরিক সমাজ। তারা এ পদক্ষেপকে অবৈধ বলে আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে কী কী রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেই বিষয়ে প্রেসিডেন্টের বিবৃতি চেয়েছে নাগরিক সমাজ।
৬৩ বছর বয়সী সাইদ রাজনীতিতে নতুন। এর আগে তিনি আইন পড়াতেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছিলেন তিনি। নিন্দুকদের অভিযোগ, তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেওয়ার পর তিনি একে একে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করা চেষ্টায় রয়েছেন। এ জন্য পার্লামেন্ট আইনপ্রণেতাদের যে সুরক্ষা দিয়েছে, তাও বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া বিচারিক ক্ষমতাও নিজের হাতে নিয়েছেন তিনি।
অবশ্য এসব পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তিও তুলে ধরেছেন প্রেসিডেন্ট সাইদ। তিনি বলছেন, সবকিছু সংবিধান মেনেই করছেন তিনি। দেশটির সংবিধান অনুসারে, ‘আসন্ন হুমকি’ মোকাবিলায় রাষ্ট্রের প্রধান যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন।