উগান্ডায় পরচর্চা থামাতে হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুক ব্যবহারে করারোপ!

উগান্ডার পার্লামেন্টে সম্প্রতি পাস হয়েছে এক নতুন আইন। এতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীদের এখন থেকে কর দিতে হবে। ছবি: এএফপি
উগান্ডার পার্লামেন্টে সম্প্রতি পাস হয়েছে এক নতুন আইন। এতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীদের এখন থেকে কর দিতে হবে। ছবি: এএফপি

উগান্ডার পার্লামেন্টে সম্প্রতি পাস হয়েছে এক নতুন আইন। এতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীদের এখন থেকে কর দিতে হবে। প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে দেশটির পার্লামেন্টে এমন আইন পাস করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। তবে এই আইন নিয়ে এখনই বিতর্ক উঠতে শুরু করেছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নতুন আইনে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ও টুইটার ব্যবহার করলে প্রতিদিনের জন্য ২০০ শিলিং (স্থানীয় মুদ্রা) করে কর দিতে হবে। উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনি এই আইন পাসের মূল উদ্যোক্তা। তিনি মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো পরচর্চার অভ্যাসকে উৎসাহিত করে। তবে শিক্ষা বা গবেষণার জন্য বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা দেওয়ার পক্ষে তিনি।

আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কীভাবে কর আদায় করা হবে, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় আছে দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।

মূলত আবগারি শুল্ক আরোপের আইনে সংশোধন এনেছে উগান্ডার পার্লামেন্ট। ফেসবুক-টুইটার ছাড়া আরও কিছু ক্ষেত্রে নতুন কর আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মোবাইলে টাকা পাঠানোর মোট পরিমাণের ওপর ১ শতাংশ হারে কর আরোপ। দেশটির নাগরিক সমাজের অভিযোগ, এতে করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। তবে উগান্ডার অর্থমন্ত্রী ডেভিড বাহাতি পার্লামেন্টে বলেছেন, দেশের জাতীয় ঋণের বোঝা কমানোর জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।

উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনি। তিনি মনে করেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো পরচর্চার অভ্যাসকে উৎসাহিত করে। ছবি: এএফপি

অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ওপর কর আরোপের সরকারি সিদ্ধান্তে সংশয় প্রকাশ করেছেন উগান্ডার সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, কীভাবে দৈনিক এই কর আদায় করা হবে, তা স্পষ্ট নয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, উগান্ডায় বর্তমানে মোবাইল ফোনের ২ কোটি ৩৬ লাখ গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ১ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার আরও কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। আর নিন্দুকেরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হতে পারে।