ইবোলামুক্ত হয়েছে গিনি

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গিনিতে ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল।
ফাইল ছবি: রয়টার্স

চলমান করোনা মহামারির মধ্যেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনিতে ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। দেশটিতে ইবোলায় সংক্রমিত হন ১৬ জন। মারা যান ১২ জন। প্রায় চার মাস পরে এসে গিনি ইবোলামুক্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আজ শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

গিনির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় নাজেরেকোরে অঞ্চলে ইবোলার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। আজ ওই অঞ্চলে গিয়ে একটি আয়োজনে দেশটির ইবোলামুক্তির ঘোষণা দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা আলফ্রেড কি-জেরবো। এই সময় তিনি বলেন, ‘ইবোলার সংক্রমণ থেকে মুক্তির ঘোষণা দিতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’
এ সময় গিনির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেমি লামহা বলেন, ‘গিনি ইবোলামুক্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্ডের পক্ষ থেকে আজ আমি এই ঘোষণা দিচ্ছি।’ তিনি জানান, গিনি ও কঙ্গোতে এর আগেও ইবোলার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই অভিজ্ঞতার আলোকে এবার অল্প সময়ের মধ্যে সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরা গেছে।

গিনির ইবোলার সংক্রমণ থেকে মুক্ত হওয়া উপলক্ষে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস। তিনি বলেন, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো ইবোলার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ওই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এবার সংক্রমণ সীমান্তের বাইরে ছড়ানো ঠেকানো গেছে।

গত ফেব্রুয়ারিতেই ইবোলার টিকা দেওয়া শুরু করেছিল গিনি। অল্প সময়ে সংক্রমণের লাগাম টানতে এটা সহায়তা করেছে।
২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা মহামারিতে ১১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যান। এ ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল গিনি থেকে। ২০১৪ সালে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়ায় ইবোলা ভাইরাস। এই ভাইরাস গিনি, লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিয়নসহ কয়েকটি দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে ইবোলার লক্ষণ হিসেবে বলা হয়, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে হঠাৎ করে প্রচণ্ড জ্বর হয়। খুব দুর্বল লাগে। মাংসপেশিতে খুব ব্যথা হতে থাকে। গলাব্যথাও হয়।

এর পরবর্তী ধাপ হলো বমি ও ডায়রিয়া দেখা দেয়। শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্তপাত হতে থাকে। সরাসরি আক্রান্ত ব্যক্তির কেটে যাওয়া ত্বক, মুখ, নাক বমি, রক্ত, মল বা শরীরের অন্য ধরনের তরল পদার্থের সংস্পর্শে এলে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হতে পারে।