আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া লেকে শুক্রবার ফেরিডুবির দুদিনের মাথায় এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির ডুবুরি দলের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, ওই ব্যক্তি অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে ছিলেন। তিনি ফেরির এয়ার পকেটের মধ্যে ছিলেন।
শনিবার দিনের শেষের দিকে দেশটির ডুবুরি দল ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পান। উদ্ধারকারীরা শেষবারের মতো ওই ফেরির ভেতরে উদ্ধার অভিযানে গিয়েছিলেন—আর কোনো মরদেহ আটকা আছে কিনা তা দেখতে। এদিকে এই দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়ে ২০৭–এ পৌঁছেছে।
ওই উদ্ধারকারী দলে থাকা একজন প্রকৌশলী বলেন, তাঁরা যখন পানির নিচে ফেরিটির ভেতরে যান, তখন একটি ছোট্ট কক্ষের ভেতর থেকে করাঘাতের শব্দ শুনতে পান। পরে তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ব্যক্তির অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলে জানা গেছে।
এদিকে ফেরিডুবির এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ২০৭–এ পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন তানজানিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী। শুক্রবার তানজানিয়ার বুগোরোরা থেকে যাত্রা করে ফেরিটি উকারা দ্বীপের কাছে পৌঁছালে সেটা ডুবে যায়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ১০০ জন ধারণক্ষমতার ওই ফেরিতে দ্বিগুণ যাত্রী উঠেছিল। এর মধ্যে ফেরিটি যখন উকারা দ্বীপের কূলে পৌঁছে যায়, তখন যাত্রীদের অধিকাংশ এক পাশে চলে আসে। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণে ফেরিটি উল্টে যায়। ফেরিটি কূলের ৫০ মিটার অদূরে দুর্ঘটনার শিকার হয়। তানজানিয়ার সরকার এ দুর্ঘটনার জেরে চার দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে, দেশটির বিরোধী দল চাদিমা এ দুর্ঘটনাকে দেখছে সরকারের দায়িত্বের অবহেলা হিসেবে। দলটির সাধারণ সম্পাদক জন নিকা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এই ফেরির ফিটনেসের দুর্বলতা নিয়ে বরাবরই কথা বলে আসছিলাম। অথচ সরকার কানে তুলো গুঁজে ছিল।’
বিবিসি বলছে, ভিক্টোরিয়া লেকে এ ধরনের ফেরি দুর্ঘটনার খবর এইবারই প্রথম নয়। এর আগে ১৯৯৬ সালে সেখানে এক ফেরি দুর্ঘটনায় ৮৯৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।