দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে ভয়ংকরভাবে হত্যার দায়ে মিজিকাইসে মালেফানে নামে এক ব্যক্তিকে (৩১) ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত বছরের জুন মাসে টেসেগোফাটসো পুলে নামে ২৮ বছরের ওই নারীর লাশ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর শরীরে অনেক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।
বিবিসির আজ রোববারের খবরে জানা যায়, ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট এ নিয়ে বক্তব্য দিতে বাধ্য হন। জোহানেসবার্গের একটি আদালতে মিজিকাইসে মালেফানে দোষী সাব্যস্ত হন।
মালেফানের দাবি, ওই নারীর সাবেক প্রেমিক তাঁকে হত্যার জন্য ভাড়া করেছিলেন। পুলিশ বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক ব্যক্তি তাঁদের হেফাজতে রয়েছেন।
আদালতে মালেফানের আইনজীবী বলেন, হত্যার জন্য ওই নারীর সাবেক প্রেমিক তাঁকে চার লাখের বেশি টাকা দেন।
গত বছরের ৪ জুন টেসেগোফাটসো পুলে নিখোঁজ হন। তখন তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। চার দিন পর তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, গত বৃহস্পতিবার তাঁরা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৩২ বছরের এক ব্যক্তিকে আটক করেছেন। পুলিশ ওই ব্যক্তির নাম জানায়নি। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে ওই ব্যক্তিকে আদালতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বছরের ২২ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের গাউতেং আদালতে মালেফানেকে নেওয়া হয়।
টেসেগোফাটসো পুলে হত্যায় বিচারের দাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। টুইটারে হ্যাশট্যাগ জাস্টিসফরটেসেগো নামে আন্দোলন গড়ে ওঠে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা নারীদের ওপর সহিসংতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, মহামারির কারণে নারীদের প্রতি সহিংসতা আরও বেড়েছে। নারী ও শিশুদের ওপর হামলার ঘটনায় নজরদারি কিছুটা শিথিল হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে সহিংস মানুষেরা।
প্রেসিডেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার ৫১ শতাংশ নারীর সহিংস পরিস্থিতির শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বিশ্বে নারীদের জন্য বিপজ্জনক দেশগুলোর একটি দক্ষিণ আফ্রিকা।