কুইপার বেল্টে সন্ধান পাওয়া বস্তুকে ‘প্লানেট নাইন’ নামে ডাকা হচ্ছে
কুইপার বেল্টে সন্ধান পাওয়া বস্তুকে ‘প্লানেট নাইন’ নামে ডাকা হচ্ছে

নতুন গ্রহের সন্ধান, আকার ‘পৃথিবীর মতো’

নতুন একটি গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, নেপচুনের পেছনে কুইপার বেল্টে নতুন এ গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটির আকার ‘পৃথিবীর মতো’। আগের ধারণার চেয়ে নতুন গ্রহটি বড়।

অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুইপার বেল্টে সন্ধান পাওয়া বস্তুকে ‘প্লানেট নাইন’ নামে ডাকা হচ্ছে। এর বিচিত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন—অন্যান্য বস্তুর ওপর এ মহাকর্ষীয় প্রভাব রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি গ্রহ।

কুইপার বেল্ট হলো ডোনাট আকৃতির একটি বরফপূর্ণ বলয়। শতকোটি বছর আগে গ্রহ সৃষ্টির পর থেকে কুইপার বেল্ট এমন অবস্থায় আছে। তবে দূরত্বের কারণে বিজ্ঞানীরা সেখানে পৌঁছাতে পারেননি। ডাচ-আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেরার্ড কুইপারের নামে এটির নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৫১ সালে তিনি কুইপার বেল্টের অস্তিত্বের কথা জানিয়েছিলেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এখনো কুইপার বেল্ট নিয়ে গবেষণা করছেন।

গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আমরা পৃথিবীর মতো আকারের একটি গ্রহ খুঁজে পেয়েছি। এটা আশার কথা যে পৃথিবী থেকে এত দূরে কুইপার বেল্টে একটি গ্রহ টিকে রয়েছে। সৌরজগতে এমন অনেকগুলো বস্তুর অস্তিত্ব রয়েছে।

এর আগে বিজ্ঞানীরা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সৌরজগতের শেষ ভাগে পৃথিবীর মতো আরও গ্রহের অস্তিত্ব থাকতে পারে। তবে এই গ্রহের আকার আগে যা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশ বড়। আর পৃথিবী থেকে এটি যত দূরে ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে এটি কাছে।  

২০২০ সালে এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সম্ভাব্য নতুন গ্রহটিকে ‘নবম গ্রহ’ হিসেবে অনুমান করেছিলেন। আগে প্লুটোকে সৌরজগতের নবম গ্রহ ধরা হতো। তবে ২০০৬ সালে প্লুটোর গ্রহের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। তখন বলা হয়, প্লুটো গ্রহ নয়, বরং বামন গ্রহ।