বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচিত হয় অনেক কিছু। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই হয় ইতিহাসে। তেমনই কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ৫ এপ্রিল। ফিরে দেখা যাক, উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিজ ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম
বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতু জাপানের আকাশি কায়কো। ১৯৯৮ সালের এ দিনে সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। সেতুটি ছয় লেনের। জাপানের কোবে ও আইওয়াজি দ্বীপকে সংযুক্ত করেছে সেতুটি। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৯১১ মিটার। ১৯৮৮ সালে এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
চীনের নাগরিক পুন লিম এক জাহাজের যাত্রী ছিলেন। আটলান্টিক মহাসাগরে সেই জাহাজটি ডুবে যায়। পরে কাঠের একটি টুকরায় ভেসে কোনোরকমে প্রাণে বাঁচেন তিনি। টানা ১৩৩ দিন তিনি এভাবে সাগরে ভেসে ছিলেন। অবশেষে ১৯৪৩ সালের এ দিনে পুন লিমকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। মাছ ও বৃষ্টির পানি খেয়ে এত দিন বেঁচে ছিলেন পুন লিম।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলি। একসময় ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তি স্পেনের অধীনে ছিল দেশটি। স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়েছে চিলির জনগণকে। স্পেনের সঙ্গে যুদ্ধও হয়েছে। ঐতিহাসিক ব্যাটেল অব মাইপু-শেষে ১৮১৮ সালের এ দিনে স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে চিলি।
যুক্তরাষ্ট্রের এস্টন লাচ্যাপেল একটি থ্রিডি প্রিন্টের রোবোটিক বাহু তৈরি করেছিলেন। কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের বিজ্ঞান মেলায় ২০১২ সালের এ দিনে বাহুটি প্রথম প্রদর্শন করা হয়। ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। পরের বছর এস্টন হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলায় এই প্রকল্প প্রদর্শন করে। তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রকল্পটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।