টাইটানিক জাহাজ ডুবেছে ১১২ বছর আগে। কিন্তু এখনো বিলাসবহুল ওই প্রমোদতরি নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। সম্প্রতি জাহাজের মেনুকার্ডের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এক্স হ্যান্ডলে ফ্যাসিনেটিং নামের একটি পেজে প্রকৃত মেনুকার্ডের দুই পাশের ছবি পোস্ট করেছে। সেখানে রয়েছে প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণির যাত্রীদের খাবারের তালিকা। সেখানে সকালের নাশতা, দুপুর ও রাতের খাবারের মেনু দেওয়া ছিল।
প্রথম শ্রেণির মেনুকার্ডের শিরোনাম ছিল ‘আরএমএস টাইটানিক’। তারিখ ১৪ এপ্রিল, ১৯১২। প্রথম শ্রেণির খাবারের তালিকায় কনসোমে ফার্মিয়ার, ফিলিটস অব ব্রিল, চিকেন আ লা ম্যারিল্যান্ড, লবণে জারিত গরুর মাংস, ককি লিকি সবজি ও ডাম্পলিং ছিল।
‘ফ্রম দ্য গ্রিল’ ক্যাটাগরিতে ছিল গ্রিলড মাটন চপ, ম্যাসড, ফ্রায়েড এবং বেকড জ্যাকেট পটেটোজ, কাস্টার্ড পুডিং, আপেল মেরিঙ্গু ও প্যাস্ট্রি।
বুফেতে স্যামন মেয়োনিজ, পটেড চিংড়ি, নরওয়েজিয়ান অ্যাঙ্কোভিস সসড হেরিংস, প্লেইন এবং স্মোকড সার্ডিনস, রোস্ট গরুর মাংস, মসলাযুক্ত গরুর মাংসসহ ছিল নানা পদ।
তৃতীয় শ্রেণির সকালের নাশতার মেনুতে ছিল ওটমিল পোরিজ ও দুধ, স্মোকড হেরিংস, জ্যাকেট আলু, হ্যাম ও ডিম, গরম–গরম রুটি ও মাখন, মার্মালেদ, সুইডিশ রুটি, চা ও কফি। রাতের খাবারে ছিল চালের স্যুপ, রুটি, ব্রাউন গ্রেভি, কেবিন বিস্কুট, মিষ্টি ভুট্টা, সেদ্ধ আলু, পাম পুডিং, মিষ্টি সস ও ফল।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘টাইটানিক ডুবে যাওয়ার আগের দিন ১৪ এপ্রিল টাইটানিকের প্রথম শ্রেণির মেনু বনাম তৃতীয় শ্রেণির মেনু।’ দ্রুতই এই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়।
১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল রাতে উত্তর আটলান্টিকের এক হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল টাইটানিকের। এরপর ধীরে ধীরে এটি ডুবে যায়। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জাহাজে থাকা আনুমানিক ১ হাজার ৫০০ যাত্রীর। সে সময় বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ ছিল টাইটানিক।