বিলিয়নিয়ার মানবহিতৈষী বিল গেটস জলবায়ু বিপর্যয় এবং বিধ্বংসী সাইবার আক্রমণের মতো জরুরি বিষয়ে জনসাধারণকে বারবার সতর্ক করেছেন। তবে যে দুটি সংকট তাঁকে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করে তা হলো,যুদ্ধ ও মহামারি।
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনবিসির মেক ইক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার ফলে সম্ভাব্য একটি বড় যুদ্ধ শুরু হতে পারে। এমনকি যদি বড় আকারের সংঘর্ষ এড়ানো যায়, তবে আরেকটি মহামারি হবে। আর তা হবে সম্ভবত আগামী ২৫ বছরের মধ্যে।
করোনা মহামারির সময় বিশ্ব যে পরিস্থিতিতে ছিল, তার তুলনায় ভবিষ্যৎ মহামারিতে বিশ্ব প্রস্তুত থাকতে সক্ষম হবে কি না এমন প্রশ্ন করা হয় বিল গেটসকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া প্রতিফলিত করে তিনি উল্লেখ করেছেন, মহামারি মোকাবিলায় যে দেশটির নেতৃত্ব দেওয়ার এবং মডেল হওয়ার আশা করে বিশ্ব, সেই দেশটি প্রত্যাশার চেয়ে দূরে রয়েছে।
বিল গেটসের ২০২২ সালে লেখা হাউ টু প্রিভেন্ট দ্য নেক্স প্যান্ডেমিক নামের বইতে ২০২০ সালে মহামারি মোকাবিলায় ঘাটতির জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে। তিনি বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর জন্য সুপারিশের রূপরেখা দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী সঙ্গনিরোধ (কোয়ারেন্টিন) ব্যবস্থা, বর্ধিত রোগ পর্যবেক্ষণ ও টিকা গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
করোনা মহামারি প্রসঙ্গে বিল গেটস বলেছেন, যদিও করোনাভাইরাস মহামারি থেকে কিছু শিক্ষা নেওয়া হয়েছে, তবে তা দুঃখজনকভাবে আমার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম হয়েছে। আমরা কী ভালো করেছি বা কোথায় খারাপ করেছি, তার পুরোপুরি প্রতিফলন দেখা যায়নি। তবে আশা করি আগামী পাঁচ বছরে তা উন্নত হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটা আশ্চর্যের।
এর আগে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান আগামী পাঁচ বছরে মানুষের জন্য রূপান্তরকারী হবে। সিএনএনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি যোগ করেছেন, আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ভয় পাওয়ার দরকার নেই কারণ, এটি নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পর বিল গেটস এ মন্তব্য করেন। জর্জিয়েভা বলেন, উন্নত দেশগুলোতে ৬০ শতাংশ চাকরি এবং সারা বিশ্বে ৪০ শতাংশ চাকরিকে প্রভাবিত করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।