বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচিত হয় অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায় ইতিহাসে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ১৯ মে। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিস ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম।
দুপুরে ঝকঝকে রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া। সবাই নিত্যদিনের কাজে ব্যস্ত। এর মধ্যে হঠাৎ করে নেমে আসে গাঢ় অন্ধকার। মধ্য দুপুরে শুরু হয় দেশলাই খোঁজাখুঁজি, জ্বালাতে হয় মোমবাতি। এমনই একটি রহস্যময় দিনের দেখা পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চল (বর্তমান ছয়টি অঙ্গরাজ্য মিলে এই এলাকা) ও কানাডার বড় একটি অংশের বাসিন্দারা। ১৭৮০ সালের এ দিনে রহস্যময় এই ঘটনা ঘটে। দিনের বেলায় হঠাৎ অন্ধকার নেমে আসার সেই রহস্য আজও উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। ইতিহাসে এটা রহস্যময় অন্ধকারের দিন হয়েই রয়ে গেছে।
যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস ও তাঁর সাবেক স্ত্রী প্রিন্সেস ডায়ানার ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি। ২০১৮ সালের এ দিনে বিয়ে করেন প্রিন্স হ্যারি। কনে আমেরিকান অভিনেত্রী মেগান মার্কেল। যুক্তরাজ্যের উইন্ডসরের জর্জ চ্যাপেলে অনুষ্ঠিত হয় তাঁদের বিয়ের রাজকীয় আয়োজন। অতিথি সংখ্যা সীমিত থাকলেও টিভির পর্দায় লাখো মানুষ হ্যারি–মেগানের বিয়ের আয়োজন উপভোগ করেন। পরবর্তীতে নানা বিতর্ক–সমালোচনার এড়িয়ে মেগানকে নিয়ে রাজপরিবার, পরে যুক্তরাজ্যই ছাড়েন হ্যারি। দুই সন্তানকে নিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে হ্যারি-মেগান দম্পতি।
১৯১০ সালের আজকের দিনে হ্যালির ধূমকেতু পৃথিবীর কাছাকাছি দৃশ্যমান হয়। এমনকি এই দিন প্রথমবারের মতো হ্যালির ধূমকেতুর ছবি তোলা সম্ভব হয়। সাধারণত প্রতি ৭৫ বছর পরপর হ্যালির ধূমকেতু পৃথিবীর কাছাকাছি আসে, পৃথিবী থেকে দেখা যায় এটি।
২০২০ সালের এই সময়টায় বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি দাপট দেখাচ্ছিল। প্রাণঘাতী এই রোগ থেকে বাঁচতে বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন চলছিল। মানুষ ঘরবন্দী, স্থবির জনজীবন, পর্যুদস্ত অর্থনীতি–সব মিলিয়ে উদ্বেগ–উৎকণ্ঠায় কাটছে মানুষের দিন। এর মধ্যে সুখবর হয়ে আসে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ কমার বার্তা। দেশে–দেশে লকডাউনের কারণে ১৭ শতাংশ কমে আসে গ্রিন হাউস গ্যাসের বৈশ্বিক নির্গমন।
সিম্পলন টানেলের অবস্থান আল্পস পর্বতমালায়। ২০ কিলোমিটার বা ১২ মাইলের এই টানেল ইউরোপের দেশ ইতালি ও সুইজারল্যান্ডকে যুক্ত করেছে। এতে ট্রেন চলাচল করে। ১৯০৬ সালের এ দিনে চালু হয় টানেলটি। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ রেল টানেল হিসেবে বিবেচনা করা হতো।