বিচিত্র

বাগানের সৌন্দর্য বাড়াতে বসানো হয় ক্ষেপণাস্ত্র 

বাগানে রাখা লাল রঙের ক্ষেপণাস্ত্র। ছবিটি জেফরি এডওয়ার্ড বিবিসিকে দিয়েছেন
বাগানে রাখা লাল রঙের ক্ষেপণাস্ত্র।  ছবিটি জেফরি এডওয়ার্ড বিবিসিকে দিয়েছেন

বাড়ির বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে মানুষ বাহারি গাছ লাগায়, সুন্দর করে বেষ্টনী দেয়, প্রবেশদ্বার তৈরি করে। তাই বলে ক্ষেপণাস্ত্র! এমনটাই হয়েছে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস কাউন্টির এক বাড়িতে। সেখানকার উঠানের বাগানে এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে সৌন্দর্য বাড়াচ্ছিল একটি ক্ষেপণাস্ত্র। তবে সেটি নিষ্ক্রিয় না তাজা, তা জানতে ডাকা হয়েছিল একটি বোমা স্কোয়াডকে। তারা পরীক্ষা করে দেখেছে এটি ১৯ শতাব্দীতে তৈরি সামরিক বোমা ও তাজা।

পেমব্রোকশায়ারের মিলফোর্ড হ্যাভেনে ওই বাড়িটি। সেখানে ৭৭ বছর বয়সী জেফরি এডওয়ার্ড ৪১ বছর ধরে বাস করছেন। তিনি বলেন, এই বাড়ির আগের মালিক মরিস পরিবার তাঁকে বলেছিলেন, এই বস্তু কয়েক দশক ধরে বাড়ির আঙিনায় আছে।

জেফরি বিবিসিকে বলেন, পপ মরিস তাঁর ঘোড়ার গাড়িতে করে লেমোনেড বিতরণ করতে ব্রড হ্যাভেন গ্রামে যাওয়ার পথে ওই শেল দেখতে পান। এরপর এটিকে তিনি অনেক কষ্ট করে গাড়িতে তুলে সাত মাইল দূরের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এটিকে তিনি বাড়ির উঠানের সোজা দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন এবং সেখানেই এটি থেকে যায়।

এই ক্ষেপণাস্ত্রকে দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্ক্রিয় বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জেফরি এবং তাঁর স্ত্রী সিয়ানকে বলেন, বোমাটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা করা দরকার।

একটি বোমা স্কোয়াড পরে বাড়িতে এসে এটি পরীক্ষা করে দেখে এটি তাজা। তবে এটি বিস্ফোরিত হওয়ার ক্ষমতা ছিল খুবই কম। পরে এটিকে একটি পুরোনো কোয়ারিতে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

জেফরি বলেন, ‘এটি আমাদের পুরোনো বন্ধু। খুব খারাপ লাগছে, পুরোনো এই জিনিসকে বিস্ফোরণে টুকরা টুকরা করে দেওয়া হয়েছে।’

জেফরি বলেন, কর্মকর্তারা তাঁকে বলেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৮৮০ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজে করে এসেছিল।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৬৪ পাউন্ড ওজনের জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রটি বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে।