মার্কিন রাজনীতিতে ঝড় তোলা কে এই স্টরমি ড্যানিয়েলস

স্টরমি ড্যানিয়েলস
ফাইল ছবি: রয়টার্স

রাজনীতিক না হয়েও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ঝড় বইয়ে দিচ্ছেন স্টরমি ড্যানিয়েলস। এই নামে পরিচিত হলেও তাঁর আসল নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। একসময় পর্নো চলচ্চিত্রে অভিনয় করতেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বহু মানুষের কাছে এখন তিনি পরিচিত।

ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করে আসছেন ড্যানিয়েলস। তিনি বলেন, আবাসন ব্যবসার মোগল থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ট্রাম্পের সঙ্গে লেক টাহোতে তিনি প্রথম এই সম্পর্কে জড়ান ২০০৬ সালের গ্রীষ্মে। ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভাদা অঙ্গরাজ্যের সীমান্তবর্তী লেক টাহোতে তখন একটি দাতব্য গলফ টুর্নামেন্ট চলছিল।

কেবলই জাড অ্যাপাটোর দ্য ফোর্টি-ইয়ার-ওল্ড ভার্জিন চলচ্চিত্রে এই অভিনেত্রীকে কিছু সময়ের জন্য দেখা যায়। এই যৌন সম্পর্কের সময় ড্যানিয়েলসের বয়স ছিল ২৭ আর ট্রাম্পের বয়স ৬০ বছর। ড্যানিয়েলের ভাষ্য, ট্রাম্প নিজের হোটেল কক্ষে তাঁকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যেখানে তিনি রাত্রিকালীন পোশাকে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প (বামে), স্টরমি ড্যানিয়েলস (ডানে)

ড্যানিয়েলস দাবি করেন, দুজনে সেখানে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। তবে তাঁদের মধ্যে কোনো ধরনের যৌন সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প।ড্যানিয়েলসের বিরুদ্ধে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাঁর (ড্যানিয়েলস) দাবি ‘প্রতারণামূলক চটকদার মিথ্যাচার’।

সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালে ট্রাম্পের আইনজীবীর মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার নেন ড্যানিয়েলস। ওই বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে এ লেনদেন হয়। নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন ট্রাম্প।

ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার মূলে রয়েছে এই অর্থ লেনদেন। এতে নির্বাচনী প্রচারণা তহবিল আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৮ সালে এই অর্থ লেনদেনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তখন ট্রাম্পের সঙ্গে করা তথ্য গোপন চুক্তি বাতিল করতে আদালতে আবেদন জানান ড্যানিয়েলস।