গ্রাহক বাড়ার পর নেটফ্লিক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা সিইও-এর পদ ছাড়ছেন

ফাইল ছবি: রয়টার্স
ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ও প্রযোজনা সংস্থা নেটফ্লিক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হেস্টিংস প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। দুই দশক ধরে নেটফ্লিক্সের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। খবর এএফপির।

নেটফ্লিক্সের সফলতার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে রিড হেস্টিংসের। ব্লগ পোস্টে হেস্টিংস জানিয়েছেন, তিনি নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার নেটফ্লিক্স বলেছে, গত বছর তাদের গ্রাহক ছিল ২৩ কোটির বেশি। এটি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’ ও ‘ওয়েনেসডে’ সিরিজ নতুন দর্শকদের টেনেছে।

গত ৩ মাসে ৭৭ লাখ নতুন সদস্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে নেটফ্লিক্স।

হেস্টিংসের দীর্ঘদিনের সহযোগী টেড সারান্ডোস এবং গ্রেগ পিটারস এখন থেকে নেটফ্লিক্সকে পরিচালনা করবেন। দুজনই ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান থার্ড ফার্মের বিশ্লেষক জেমি লুমলি বলেন, ‘রিড হেস্টিংস তাঁর বর্তমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ায় নেটফ্লিক্সের ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন উঠেছে।’ তিনি মনে করেন, নতুন সহ-সিইও গ্রেগ পিটার্সকে উচ্চমাত্রার খরচজনিত ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে পাসওয়ার্ড শেয়ারিং এবং পরবর্তী স্ট্রেঞ্জার থিংস সিরিজসংক্রান্ত বড় বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

অবশ্য সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যার দিক থেকে কোম্পানির মজবুত অবস্থান নিয়ে নতুন সিইওরা কাজ শুরু করবেন। কারণ, ২০২২ সালের শেষ তিন মাসে নেটফ্লিক্সের ৭৬ লাখ ৬০ হাজার সাবস্ক্রাইবার বেড়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। ওই তিন মাসে ৪৫ লাখ সাবস্ক্রাইবার বাড়বে বলে ধারণা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

এ নিয়ে কোম্পানিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০২২ সালের শুরুটা কঠিন হয়ে উঠেছিল। তবে শেষটা ভালো হয়েছে।’

১৯৯৭ সালে ডাকযোগে বাড়িতে বাড়িতে চলচ্চিত্রের ডিভিডি পাঠানোর মধ্য দিয়ে নেটফ্লিক্সের যাত্রা শুরু হয়েছিল। গ্রাহকেরা তখন ওয়েবসাইটে ঢুকে নির্দিষ্ট চলচ্চিত্রের ডিভিডি অর্ডার করতেন। সেগুলো ডাকযোগে পাঠিয়ে দিত নেটফ্লিক্স। তবে বর্তমান নেটফ্লিক্স গঠনের ধারণাটি কীভাবে এসেছিল, তা নিয়ে মাঝেমধ্যে কথা বলেছেন হেস্টিংস। তিনি বলেছিলেন, ব্লকবাস্টার নামের একটি দোকান থেকে ভিডিও ক্যাসেট ভাড়া করার পর তা ফেরত দিতে ভুলে যাওয়ায় তাঁকে একসময় বিশাল পরিমাণে জরিমানা দিতে হয়েছে। এরপরই মাসিক ফি’র বিনিময়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ধারণাটি তাঁর মাথায় আসে।

অবশ্য তাঁর সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক রানডলফ ভিন্ন কথা বলে থাকেন। তিনি বলেন, তাঁরা দুজন ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনকে অনুকরণ করে নেটফ্লিক্স বানিয়েছিলেন।