ওজন কমাতে মানুষ ডায়েট করে, এটা জানা কথা। এবার জানা গেল প্রাণীর ডায়েটের কথা। এমন ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানায়, তাইওয়ানের তাইপে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেখানে জন্ম নেওয়া দুটি পান্ডাকে ডায়েট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি রুটিন মেনে করানো হবে ব্যায়ামও। প্রাণী দুটির মধ্যে স্থূলতার সমস্যা দেখা দেওয়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন থেকে ২০০৮ সালে তাইওয়ানকে দুটি পান্ডা উপহার দেওয়া হয়। সেগুলোরই শাবক হলো এ দুটি। এর মধ্যে একটির বয়স ৯ বছর ও অন্যটি তার ১ বছরের ছোট। স্ত্রী পান্ডা দুটির মধ্যে বড়টির নাম উয়ান জাই, ছোটটির উয়ান বাও। বর্তমানে সেগুলোর ওজন যথাক্রমে ১১৫ ও ৭০ কেজি।
পান্ডা খোলা পরিবেশে সাধারণত ১৪ থেকে ২০ বছর ও বদ্ধ অবস্থায় ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। পরিণত বয়সের একটি স্ত্রী পান্ডার ওজন ১০৫ থেকে ১১০ কেজির মধ্যে হতে হয়। স্থূলতা পান্ডার ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (রক্তের গ্লুকোজ বা শর্করা হঠাৎ নেমে যাওয়া) মতো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
তাইপে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রাণী দুটির স্বাস্থ্য এখনো ঠিকঠাক আছে। তবে ওজন কমাতে পান্ডা দুটির ডায়েট ও ব্যায়াম শুরু হচ্ছে। ওজন কমাতে সেগুলোকে কম লবণ–চিনি ও চর্বিমুক্ত বিশেষ খাবার দেওয়া হবে। তবে খাদ্যতালিকায় প্রোটিন রাখা হয়েছে উচ্চ মাত্রায়। খাদ্য হিসেবে সেগুলোকে দেওয়া হবে ভাপানো রুটি, ভুট্টা ও সয়াবিন। ক্যালরি বার্ন করার জন্য সেগুলোর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা খেলার ব্যবস্থা করবেন। জাই ও বাওকে রুটিনমাফিক নিয়ম মেনে খেলতে উৎসাহিত করা হবে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, যখন পান্ডা দুটির ওজন আদর্শ অবস্থায় আসবে, তখন সেগুলোর খাদ্যতালিকায় আবার পরিবর্তন আনা হবে। তারা বলছে, চিড়িয়াখানায় বন্দী থাকায় প্রাণী দুটি আয়েশি জীবন যাপন করছে।
উয়ান জাই তাইওয়ানে জন্ম নেওয়া প্রথম পান্ডা। এগুলোর মা-বাবার নাম উয়ান উয়ান ও তুয়ান তুয়া। পান্ডাগুলো প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে সন্তান জন্মদানে অক্ষম ছিল। কৃত্রিম প্রজননের জন্য সেগুলোকে তাইওয়ানে পাঠায় চীন। সেগুলোর সন্তান জন্মদানের জন্য বিশেষ চিকিৎসাপদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হয়।